যশস্বী জয়সওয়াল। ছবি: পিটিআই।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে ৩২২ রানে লিড নিল ভারত। যশস্বী জয়সওয়াল শতরান করলেন। কিন্তু চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। সেই জায়গায় নেমে রজত পটীদার ভুল শট খেলে আউট হয়ে যান। একের পর এক ম্যাচে রান পাচ্ছেন না তিনি। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ১৯৬/২।
বড় রানের লিড নেওয়ার পথে ভারত। যশস্বী শতরান করলেন। ১৩৩ বলে ১০৪ রান করে উঠে যান তিনি। শতরানের পরেই যশস্বীর পিঠে টান লাগে। সেই কারণেই উঠে যান তিনি। যশস্বীর জায়গায় ব্যাট করতে নামেন পটীদার। ১০ বল খেলে শূন্য রান করে আউট হয়ে যান তিনি। পটীদারের আউট হওয়ার ধরন বেশ চিন্তার কারণ। বলের গতি বুঝতে না পেরে ব্যাট চালান তিনি। তাতেই ক্যাচ উঠে যায় মিড উইকেটে। রেহান আহমেদ সেই ক্যাচ ধরেন। অভিষেক টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩২ রান করেছিলেন তিনি। সেটাই তাঁর সর্বোচ্চ রান। আগের ইনিংসে ৫ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। এই ইনিংসে করেন শূন্য। পরের ম্যাচে লোকেশ রাহুল ফিরলে হয়তো বার পড়তে হবে তাঁকেই।
শুক্রবার ইংল্যান্ড যে ভাবে খেলছিল তাতে বড় রান করার ইঙ্গিত ছিল। রাতে রবিচন্দ্রন অশ্বিন হঠাৎ মায়ের অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফিরে যাওয়ায় সমস্যা বাড়ে ভারতের। কিন্তু শনিবার সকালে যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদবেরা ইংল্যান্ডের কাজটা কঠিন করে দেন। রানের গতিতে লাগাম পরিয়ে দেন তাঁরা। তাতেই উইকেট দিতে শুরু করে ইংল্যান্ড। বুমরাকে রিভার্স সুইপ মারতে যান জো রুট। সকাল থেকে রানের গতি কমিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় বোলারেরা। সেই সময় ধরে খেলার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গেল। মুশকিল হল সেখানেই।
রুট আউট হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আউট হয়ে যান জনি বেয়ারস্টো। ১৫২ রান করা বেন ডাকেটও আউট হয়ে যান। পর পর তিন উইকেট যেতেই বেকায়দায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু এমন অবস্থা থেকে ইংল্যান্ডকে একাধিক ম্যাচে ভরসা দিয়েছেন বেন স্টোকস। তিনি ক্রিজ়ে থাকায় তবুও আশা ছিল ইংল্যান্ড সমর্থকদের। কিন্তু স্টোকসও হঠাৎ বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বুমরার হাতে।
মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার সময় ইংল্যান্ডের ২৯০ রান ছিল। হাতে তখনও ৫ উইকেট। সেখান থেকে ৩১৯ রানে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইনিংস। মধ্যাহ্নভোজের পর ফিরে এসে ২৯ রানে ৫ উইকেট হারানোটাই চাপ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের জন্য।
রবিবার ভারত চাইবে রান তুলে ইংল্যান্ডের সামনে বড় লক্ষ্য রাখতে। সেটা করার জন্য শুভমন ছাড়াও রান করতে হবে সরফরাজ় খানদের।