সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতীয় দল ২০২ রান তুললেও প্রশ্ন উঠেছে ব্যাটিং নিয়ে। ১৫.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৫ রান হওয়ার পর শেষের দিকের ব্যাটারেরা প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারেনি। শেষ ৩৩ বলে ভারত করে ২৭ রান। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব অবশ্য সতীর্থদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর যুক্তি শেষ দিকে আগ্রাসী ব্যাটিং করাই লক্ষ্য ছিল তাঁদের।
প্রথম ম্যাচ জিতে সূর্যকুমার জানিয়ে দিলেন, তাঁরা আগ্রাসী ব্যাটিংই করতে চান। সতীর্থদের পাশে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমরা যে ভাবে ক্রিকেট খেলছি, সে ভাবেই খেলতে চাই। দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারালেও খেলার ধরন বদল করতে চাই না। এটা ২০ ওভারের ক্রিকেট। ১৭ ওভারে যদি আমরা এ ভাবে ২০০ তুলতে পারি, তা হলে কেন তুলব না?’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘টসের পরই বলেছিলাম, আমাদের কাজ সহজ হয়ে গেল। আমি কোনও রকম চাপ নিয়ে চলতে চাই না। দলের সবাই খেলাটা উপভোগ করছে। মাঠে সবাই ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। তাতে আমার কাজও সহজ হয়ে যাচ্ছে।’’ সূর্যকুমারের যুক্তি, আগ্রাসী ব্যাটিং করে ১৭-১৮ ওভারে ২০০-র বেশি রান তুলতে পারলে কেন তুলবেন না।
শুক্রবার ভারতীয় ইনিংসের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। ৭টি চার এবং ১০টি ছক্কার সাহায্যে তাঁর ৫০ বলে ১০৭ রানের ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের চাপে ফেলে দেয়। শতরানের মুখে দাঁড়িয়েও আগ্রাসী ছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। সতীর্থের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ সূর্যকুমার বলেছেন, ‘‘সঞ্জু কতটা পরিশ্রম করেছে, সেটা ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের হয়ে খেলছে। আগে তেমন সাফল্য পায়নি। অথচ শ্রমবিমুখ হয়নি কখনও। এখন সুফল পাচ্ছে। ও সব সময় দলের স্বার্থের কথা ভেবে খেলে। ওকে দেখে খুব ভাল লাগছে।’’ সঞ্জুকে নিয়ে সূর্যকুমার আরও বলেছেন, ‘‘৯০ হয়ে যাওয়ার পরেও আগ্রাসী ব্যাটিং করেছে সঞ্জু। চার-ছয় মারার চেষ্টা করেছে শতরানের মুখে দাঁড়িয়ে। এক জন খেলোয়াড়ের চরিত্র এমনই হওয়া উচিত। সব সময় আগে দলের কথা ভাবে। এটাই ওকে সকলের থেকে আলাদা করে তুলেছে।’’
ডারবানে ভারতের শেষ ৫ উইকেট পড়েছে ২৭ রানে। হার্দিক পাণ্ড্য, রিঙ্কু সিংহ, অক্ষর পটেলরা শেষের দিকের ওভারগুলোয় দলের ইনিংস সে ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। এত চিন্তিত নন সূর্যকুমার। তাঁর বক্তব্য, গত দু’তিনটি সিরিজ় তাঁরা এ ভাবেই খেলছেন। সাফল্যও আসছে। তাই পরিকল্পনা বদলের কথা ভাবছেন না।