রবিবার দু’টি উইকেটই পেয়েছেন অশ্বিন। ছবি: আইসিসি।
চতুর্থ দিনও বৃষ্টি ব্যাঘাত ঘটাল খেলায়। গোটা দিনে ৬৪ ওভার খেলা হল। কিন্তু তার মধ্যেই খেলা জমিয়ে দিল ভারত। প্রথমে পেসারদের দাপটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে অল আউট করলেন রোহিত শর্মারা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান করলেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। সব শেষে আবার বোলারেরা দাপট দেখালেন। পঞ্চম দিন টেস্ট জিততে ভারতের দরকার আট উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়েরও সুযোগ রয়েছে। আরও ২৮৯ রান করতে পারলে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ়ে সমতা ফেরাতে পারবে তারা। কিন্তু লড়াই কঠিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সামনে।
তৃতীয় দিনের শেষে পাঁচ উইকেটে ২২৯ রান ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের। চতুর্থ দিন মাত্র ৭.৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বাকি পাঁচ উইকেট ফেলে দিলেন ভারতীয় পেসারেরা। শুরু করলেন মুকেশ কুমার। দিনের প্রথম ওভারেই আলিক আথানেজ়কে ৩৭ রানের মাথায় আউট করলেন তিনি। বাকি কাজটি করলেন মহম্মদ সিরাজ়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের শেষ চারটি উইকেট তুলে নিলেন এই ডান হাতি পেসার। ফুল লেংথে বল করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের নীচের সারির ব্যাটারদের সমস্যায় ফেললেন তিনি। ৬০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিলেন সিরাজ়। ২৫৫ রানে অল আউট হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। প্রথম ইনিংসে ১৮৩ রানের লিড নিল ভারত।
রোহিত জানতেন, যে ভাবে বার বার বৃষ্টিতে খেলায় ব্যাঘাত হচ্ছে তাতে চতুর্থ ইনিংসে বোলারদের ১০ উইকেট নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ওভার দিতে হবে। সেই কারণে দ্রুত ব্যাটিং শুরু করলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন তাঁরা। প্রতি ওভারে ১০ রানের গতিতে রান উঠছিল। প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতরান করলেন রোহিত। ৫৭ রান করে আউট হলেন তিনি। যশস্বী ৩৮ রান করে আউট হন।
উইকেট পড়লেও রানের গতি কমছিল না। চার নম্বরে বিরাট কোহলির বদলে ঈশান কিশনকে নামানো হয়। তিনি শুভমন গিলের সঙ্গে একই ছন্দে ব্যাটিং শুরু করেন। ভারতের সাজঘর থেকে ক্রমাগত নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল দ্রুত খেলতে। মাত্র ৩৪ বলে টেস্টে নিজের প্রথম অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ঈশান। পর পর দু’টি ছক্কা মেরে এই নজির গড়েন তিনি। তার পরেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন রোহিত। ২৪ ওভারে দু’উইকেটে ১৮১ রান করে ভারত। ঈশান ৫২ ও শুভমন ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সামনে ৩৬৫ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত।
চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতোই শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দুই ওপেনার। অধিনায়ক ক্রেগ ব্রেথওয়েটকে সাবলীল দেখাচ্ছিল। কিছুটা সময় নিচ্ছিলেন ত্যাগনারায়ণ চন্দ্রপল। পেসারেরা উইকেট না নিতে পারায় রোহিত স্পিনারদের হাতে বল তুলে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে প্রথম ধাক্কা দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২৮ রান করে অশ্বিনের বলে সুইপ মারতে গিয়ে আউট হন অধিনায়ক ব্রেথওয়েট। তিন নম্বরে কির্ক ম্যাকেঞ্জি রান পাননি। শূন্য রানে তাঁকে ফেরান অশ্বিন।
চার নম্বরে নামা জার্মেইন ব্ল্যাকউড জুটি বাঁধেন চন্দ্রপলের সঙ্গে। দিনের শেষ পর্যন্ত তাঁরাই উইকেটে ছিলেন। চতুর্থ দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের রান দু’উইকেটে ৭৬। চন্দ্রপল ২৪ ও ব্ল্য়াকউড ২০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।