কুলদীপ যাদব। —ফাইল চিত্র।
তিনি এখনও জানেন না, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের দলে ডাক পাবেন কি না। তবে বৃহস্পতিবার স্পিন ঘূর্ণিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে ধরাশায়ী করার পরে কুলদীপ যাদব মনে করছেন, আগামী দিনে সুযোগ পেলে তিনি এ ভাবেই বল করবেন। এ-ও জানান, দলীয় ভারসাম্য বজায় রাখতে দলে জায়গা না পাওয়া স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আজ, শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে তাঁর ঘূর্ণিই ভরসা দিচ্ছে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে কুলদীপ বলেছেন, ‘‘বেশিরভাগ সময় ম্যাচের পরিস্থিতি ও দলীয় ভারসাম্য ঠিক রাখতে আমি খেলার সুযোগ পাইনি।’’ যোগ করেন, ‘‘প্রায় ছয় বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফেলেছি। এখন এই ব্যাপারগুলো স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে আমার কাছে।’’
বার্বেডোজে প্রথম এক দিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে জয়ের পরে সমাজমাধ্যমে কুলদীপ এবং রবীন্দ্র জাডেজার কথোপকথনের একটি ভিডিয়ো দিয়েছে বিসিসিআই। যেখানে চায়নাম্যান স্পিনার জানিয়েছেন, দলে জাডেজার মতো অভিজ্ঞ স্পিনারের পরামর্শ তাঁকে যেমন সাহায্য করেছে, তেমনই সতীর্থ যুজ়বেন্দ্র চহালের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া অত্যন্ত মসৃণ।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে দুই স্পিনার মিলিয়ে তুলে নেন সাত উইকেট। যে প্রসঙ্গে সতীর্থকে জাডেজার প্রশ্ন ছিল, ‘‘বোলিং শুরু করতে না করতেই চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করে দিলে?’’ কুলদীপের জবাব, ‘‘শুরুর কাজ পেসাররা করল। মুকেশ কুমার অভিষেক ম্যাচে দারুণ বল করেছে। বাকি কাজ তুমিই তো করেছ। আমি যখন এলাম, তখন শেষের সারির ব্যাটসম্যানেরা খেলছে। ভাবলাম ওদেরই আউট করার চেষ্টা করি।’’
যদিও জাডেজা জানিয়ে দেন, তেমন কোনও কৃতিত্ব নেই। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘তেমন কিছুই নয়। স্পিনাররা বল করতে এলে প্রথম ওভারেই বোঝা যায় বল কতটা ঘুরছে। দেখলাম ভাল বল ঘুরছে। ব্যাটসম্যানের কাছেও বল যাচ্ছে অনেক দেরিতে। মনে হয়েছিল, এটা উইকেট শিকারের সেরা জায়গা।’’
কথাপ্রসঙ্গেই কুলদীপের নতুন চুলের ছাঁটেরও প্রশংসা করেন ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘‘তুমি তো দেশ থেকে দারুণ চুলের ছাঁট দিয়ে এসেছ। এখানে এত গরম যে, মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছে বেশি চুল না থাকলে খুলি ফেটে যাবে।’’ হেসে পাল্টা কুলদীপ বলেন, ‘‘আমি তো জাড্ডুভাইয়ের ভক্ত। ওর থেকেই শিখেছি চুলের নতুন ছাঁট।’’
নিজের বোলিং নিয়ে কুলদীপ বলেন, ‘‘একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বোলিংকে তীক্ষ্ণ করার চেষ্টা করছি। চোট সারিয়ে ফেরার পরে গত দেড় বছর ধরে ঠিক লেংথে বল রাখার চেষ্টা করে চলেছি। কোনওদিন হয়তো পাব উইকেট, কোন ম্যাচে পাব না। কিন্তু বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে নিয়ে বৈচিত্র প্রয়োগ করাই গুরুত্বপূর্ণ।’’
সতীর্থ যুজ়বেন্দ্র চহালকে নিয়ে কুলদীপের মন্তব্য, ‘‘ও খেললেও ভাল হত। ওর সঙ্গে বোলিংও উপভোগ করি। দুজনেই খোলামেলা থাকি এবং পরস্পরকে পরামর্শ দিয়ে থাকি।’’