রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জয় নিশ্চিত হয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচেই। চরিথ আসালঙ্কার দলকে রুদ্ধশ্বাস তৃতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে হারিয়ে দিলেন সূর্যকুমার যাদবেরা। প্রথম ব্যাট করে মঙ্গলবার ভারতীয় দল করে ৯ উইকেটে ১৩৭। জবাবে ৮ উইকেটে শ্রীলঙ্কাও করে ১৩৭ রান।
টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সূর্যকুমার বল দেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে। সুপার ওভারের প্রথম বল ওয়াইড হলেও কুশল পেরেরা এবং পাথুম নিশাঙ্কাকে ওয়াশিংটন আউট করে দেন তিন বলে। ২ রান করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম বলেই চার মেরে ভারতকে জয় এনে দেন সূর্যকুমার। প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচ হাতছাড়া করলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা। ভারতের জয় এল বোলার রিঙ্কু সিংহ এবং সূর্যকুমারের জন্য। ম্যাচের ১৯ এবং ২০ তম ওভারে দু’জনেই ২ উইকেট করে নিয়ে ভারতকে অবিশ্বাস্য ভাবে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন।
এর আগে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারত। সহ-অধিনায়ক শুভমন গিল ছাড়া প্রথম সারির কোনও ব্যাটারই রান পেলেন না এ দিন। যশস্বী জয়সওয়াল (৯ বলে ১০), সঞ্জু স্যামসন (৪ বলে শূন্য), রিঙ্কু (২ বলে ১), সূর্যকুমার (৯ বলে ৮) পর পর আউট হয়ে যান। টানা দু’ম্যাচে কোনও রান করতে পারলেন না সঞ্জু। দলকে ভরসা দিতে পারেননি শিবম দুবেও (১৪ বলে ১৩) নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় ভারতীয় দল। ২২ গজের এক দিক আগলে ছিলেন শুভমন। তিনি ৩৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। ৩টি চার আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয় সপ্তম উইকেটে রিয়ান পরাগ এবং ওয়াশিংটনের জুটি। রিয়ান ১৮ বলে ২৬ রান করেন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১টি চার এবং ২টি ছক্কা। ওয়াশিংটন করেন ১৮ বলে ২৫। মারেন ২টি চার একটি ছয়। ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রবি বিষ্ণোই।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে সফলতম মাহিশ থিকশানা ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২৯ রানে ২ উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গর। ১১ রানে ১ উইকেট অসিথা ফার্নান্দোর। ১৭ রানে ১ উইকেট চামিন্দু বিক্রমাসিংহের। ২৬ রানে ১ উইকেট রমেশ মেন্ডিসের।
জয়ের জন্য ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাবলীল ভাবে খেললেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা। ভারতের বোলারেরা তাঁদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি পাল্লেকেলের ২২ গজে। প্রথম উইকেটের জুটিতে নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস ৫৮ রান তোলেন। নিশাঙ্কা করেন ২৭ বলে ২৬ রান। ৫টি চার এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। মেন্ডিসের অবদান ৪১ বলে ৪৩। ৩টি চার মারেন তিনি। নিশাঙ্কা আউট হওয়ার পর মেন্ডিসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কুশল। তিনি ৩৪ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫টি চার। হাসরঙ্গ (৪ বলে ৩) এবং আসালঙ্কা (শূন্য) পর পর আউট হওয়ায় শেষ দিকে কিছুটা চাপ তৈরি হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। ১৮তম ওভারে জঘন্য বল করে শ্রীলঙ্কাকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দেন ভারতের খলিল আহমেদ। পাঁচটি ওয়াইড করলেন তিনি। ব্যর্থ হলেন রমেশ মেন্ডিস (৩)।
ভারতের সফলতম বোলার রিঙ্কু ৩ রানে ২ উইকেট নেন। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে ভারতকে আবার লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন তিনি। শেষ ওভারে বল করতে এসে ৫ রানে ২ উইকেট নেন সূর্যকুমারও। ওয়াশিংটন ২৩ রানে ২ উইকেট নিলেন। বিষ্ণোই ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।