অক্ষর পটেল। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ যত এগিয়ে আসছে, তত উদ্বেগ বাড়ছে ক্রিকেট মহলে। প্রস্তুতির জন্য প্রায় সব দেশই ম্যাচ খেলছে। তাতেই চোট লাগছে ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপে না খেলতে পারার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে একের পর এক ক্রিকেটারের।
টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমশ কমেছে এক দিনের ক্রিকেট। এখন আর খুব বেশি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলে না দলগুলি। তাই প্রস্তুতির জন্য বিশ্বকাপের আগে সব দেশই এক দিনের সিরিজ় বা প্রতিযোগিতা খেলতে ব্যস্ত। সব দলই প্রথম একাদশ নিয়ে পরীক্ষা সেরে নিচ্ছে। তাতেই বাড়ছে চোট-আঘাত। যেমন এশিয়া কাপে চোট পাওয়া পাকিস্তানের জোরে বোলার নাসিম শাহের বিশ্বকাপ খেলাই অনিশ্চিত। উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ভারতের অক্ষর পটেলকে নিয়েও। তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই জোরে বোলারেরও বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত।
বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে রয়েছেন অনরিখ নোখিয়ে এবং সিসান্দা মাগালা। চোটের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ের সব ম্যাচ খেলতে পারেননি তাঁরা। নোখিয়ের পিঠের নীচের অংশে চোট রয়েছে। মাগালার চোট বাঁ পায়ের হাঁটুতে। দু’জনেরই পুরো ফিট হতে কিছু দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎকেরা। নির্দিষ্ট ভাবে সময় বলা হয়নি। তাই নোখিয়ে এবং মাগালার বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ভারতে আসার কথা আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। দেশ ছাড়ার আগে দুই জোরে বোলারের ফিটনেস নিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন টেম্বা বাভুমারা। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব দেশকে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করতে হবে। প্রয়োজনে নোখিয়ে এবং মাগালার পরিবর্তে অন্য দু’জনকে দলে নেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন বাভুমারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং কোচ রব ওয়াল্টার বলেছেন, ‘‘আমরা দুই বোলারের পরিস্থিতির উপর সতর্ক নজর রাখছি। কেউই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে খেলতে পারেনি। আমরা সপ্তাহখানেক বাদেই ভারতের বিমানে উঠব। তাই আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। প্রাথমিক ভাবে ওদের নিয়েই ভারতে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। তেমন হলে ওদের পরিবর্ত ক্রিকেটারের জন্য আবেদন করা হবে। নিঃসন্দেহে আমাদের পরিস্থিতি একটু কঠিন।’’
সতর্কতা হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে ভারতে নিয়ে আসবে জোরে বোলার আন্দিলে ফেলুকওয়ে-সহ দু’জনকে। যাতে তাঁরা ভারতের উইকেট এবং আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। পাশাপাশি, প্রয়োজন হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্ত ক্রিকেটার পাওয়া যায়।