বাংলাদেশের এক মহিলা ক্রিকেটারকে গড়াপেটার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ছবি: টুইটার।
ম্যাচ গড়াপেটার ছায়া মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারকে গড়াপেটার প্রস্তাব দিয়ে ফোন আর এক ক্রিকেটারের। বাংলাদেশের জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটার অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন। বাংলাদেশের যমুনা টিভির একটি প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতেই বিতর্ক। ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দিয়ে বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারকে ফোন করা হয়। অভিযোগ অন্যায় প্রস্তাব যিনি দিয়েছিলেন তিনিও এক জন ক্রিকেটার। গড়াপেটার প্রস্তাব দেওয়া ক্রিকেটার অবশ্য বাংলাদেশের মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে নেই। তিনি রয়েছেন বাংলাদেশেই। ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পাওয়ার পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকা ক্রিকেটার বিষয়টি জানান দলের কোচ এবং ম্যানেজারকে। সংশ্লিষ্ট কোনও ক্রিকেটারেরই নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বাংলাদেশের চ্যানেলটি দুই ক্রিকেটারের ফোনের কথাবার্তার অডিয়ো সম্প্রচার করে এই দাবি করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান নিজামুদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলা হবে। তিনি বলেছেন, ‘‘আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আমাদের খেলোয়াড়রা জানে এই পরিস্থিতিতে তাদের কী করণীয়। সকলেই সচেতন। সকলেই জানে প্রতিযোগিতার সময় এমন কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখাকে জানাতে হয়। এটা আমাদের বোর্ডের তদন্তের বিষয় নয়। ঘটনাটি খুবই সংবেদনশীল। আমরা এ ব্যাপারে বেশি কিছু বলতে পারি না।’’
টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত অডিয়োয় শোনা গিয়েছে দুই ক্রিকেটারের কথা। গড়াপেটার প্রস্তাব দেওয়া ক্রিকেটার বলেন, ‘‘আমি তোমার উপর কিছু চাপিয়ে দিতে চাইছি না। ইচ্ছে করলে ম্যাচটা তুমি নাও খেলতে পার। চাইলে খেলতেও পার। তুমি কোন ম্যাচগুলি খেলতে চাও, সেটা নিজে বেছে নাও। কোন কোন ম্যাচে খেলবে না সেটাও নিজে ঠিক কর। তুমি একটি ম্যাচে ভাল খেলেছ। পরের ম্যাচ খেলা বা না খেলার ব্যাপারে কথা বলতেই পার। মনে দল টিম ম্যানেজমেন্টও সেটা মেনে নেবে।’’
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়ে ফোন পান জাতীয় মহিলা দলের ক্রিকেটার। এখনও পর্যন্ত মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দু’টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে তারা।