ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান আয়োজকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে প্রতিযোগিতা থেকেই নাম তুলে নিতে পারে। আবার ভারতকে পাকিস্তানে যেতে বাধ্য করা হলে তারাও নাম তুলে নিতে পারে। যদি দুই দেশের কোনও একটি নাম তুলে নেয় তা হলে বড় মাপের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে আইসিসি-র।
আইসিসি ইতিমধ্যেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট দেখানোর জন্য সম্প্রচারস্বত্ব বাবদ ২৭ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। আরও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ৮,৪৪০ কোটি টাকা পেতে পারে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না হলে ভাল রকম আর্থিক ক্ষতি হবে তাদের। দুই দেশেরই প্রচুর সমর্থক রয়েছেন। তাঁরা দেশের খেলা না দেখলে ‘ভিউয়ারশিপ’-এও প্রভাব পড়বে।
ভারত থেকে আইসিসি-র সবচেয়ে বেশি লাভ হলেও পাকিস্তানকে পুরোপুরি অগ্রাহ্য করতে পারবে না আইসিসি। ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারতে আইসিসি-র চারটি প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। পরের বছর মহিলাদের বিশ্বকাপ, ২০২৬-এ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০৩১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ হবে। পাকিস্তান যদি ভারতে দল না পাঠায় তা হলে প্রতিযোগিতার মান এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে।
আইসিসি-র খবর, গত বছরের ক্রিকেট বিশ্বকাপে টিভিতে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখেছেন ১৭.৩ কোটি মানুষ। ডিজিটাল মাধ্যমে দেখেছে ২২.৫ কোটি। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলাতে পাকিস্তান যদি ‘হাইব্রিড মডেল’-এ রাজি হয়েও যায়, তা হলেও বাড়তি অর্থ নিয়ে চিন্তা থাকছে। পাকিস্তানের খরচ বাড়বে। সেই খরচ আইসিসি বহন করবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।