গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের আইপিএলজয়ী দলের মেন্টর ছিলেন গৌতম গম্ভীর। এখন তিনি ভারতীয় দলের কোচ। স্বাভাবিক ভাবেই কেকেআরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন। ন’টি ম্যাচ খেলে পাঁচটি হেরে যাওয়া নাইট শিবির তাঁর অভাব অনুভব করছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন বলে ফেললেন হর্ষিত রানা।
কেকেআরের তিন বার আইপিএল জয়েই অবদান রয়েছে গম্ভীরের। দলকে ট্রফি জয়ের রাস্তায় ফেরাতে গত বছর তাঁকে মেন্টর করে এনেছিলেন শাহরুখ খান। সফল হয়েছিল কেকেআরও। এ বার তাঁর অনুপস্থিতিতে আবার ধুঁকছে অজিঙ্ক রাহানের দল। অক্ষর পটেলদের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন হর্ষিত জানালেন তিনি গম্ভীরের অভাব অনুভব করছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লি হর্ষিতের ঘরের মাঠ। তবু হর্ষিত বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের কোচিং স্টাফ মোটামুটি একই রয়েছে। অভিষেক নায়ার যোগ দিয়েছেন। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত স্যরও আছেন। আমরা যে পরিবেশে অভ্যস্ত বা পছন্দ করি, তেমন পরিবেশই পাচ্ছি। তবু একটা উত্তেজনার অভাব রয়েছে শিবিরে।’’ হর্ষিত বোঝাতে চেয়েছেন, গম্ভীরের উপস্থিতি দলের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি করেছিল, সেটা এ বার নেই।
অভিষেক সহকারী কোচ হিসাবে ফিরে আসায় অবশ্য খুশি হর্ষিত। কেকেআরের জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘অভিষেক স্যর খুবই ভাল। খুব বুদ্ধিমান। ক্রিকেটটা দারুণ বোঝেন। ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। সব সময় উন্নতির চেষ্টা করেন। আমরা যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছি।’’ দলে একাধিক প্রথম সারির ভারতীয় খেলোয়াড় থাকলেও প্রত্যাশিত সাফল্য আসছে না কেন? হর্ষিত বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের ভারতীয় বোলিং আক্রমণ খুবই শক্তিশালী। থুতু ব্যবহার করতে পারায় রিভার্স সুইং করানো যাচ্ছে। তবু পারফরম্যান্সে খুব একটা খুশি নই। স্পিন বিভাগ নিয়ে আমার কোনও চিন্তা নেই।’’
গম্ভীরের অনুপস্থিতিতে কি দলে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যাচ্ছে? এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি হর্ষিত। তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভো পূরণ করতে পারছেন না গম্ভীরের অভাব।