IPL 2025

২০২৮ থেকে আইপিএলে বদল, বোর্ডের পরিকল্পনা সারা, বাড়ছে ক’টি ম্যাচ?

আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল জানিয়েছেন, ২০২৮ সাল থেকে পরিবর্তন হতে পারে আইপিএলের ফরম্যাট। লিগ হতে পারে সম্পূর্ণ হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। সে ক্ষেত্রে ম্যাচের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৬
Share:
picture of IPL trophy

আইপিএল ট্রফি। —ফাইল চিত্র।

বদলে যাবে আইপিএল। ২০২৮ সাল থেকে নতুন ফরম্যাটে হবে প্রতিযোগিতা। এক রকম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে পরিকল্পনা। প্রতিযোগিতার মাঝে পরিবর্তনের কথা জানিয়ে দিলেন আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল।

Advertisement

২০২৮ সাল থেকে আইপিএলে হবে ৯৪টি করে ম্যাচ। ৬০ থেকে ৬৫ দিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা। হোম-অ্যাওয়ে লিগ শুরু হবে আইপিএলে। এমনই পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) পরের ফিউচার ট্যুর পোগ্রামে (এফটিপি) আইপিএলের জন্য আরও বেশি সময় বরাদ্দ করার আশ্বাসও দিয়েছে বলে দাবি বিসিসিআই কর্তাদের। ২০২৮ সাল থেকে আইপিএলের নতুন সম্প্রচারস্বত্ত্বও বিক্রি করবে বোর্ড।

এখন আইপিএলের দলগুলিকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। গ্রুপ ‘এ’র দলগুলি পরস্পরের সঙ্গে দু’টি করে ম্যাচ খেলে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। গ্রুপ ‘বি’র দলগুলির সঙ্গে খেলে একটি করে ম্যাচ। তেমনই গ্রুপ ‘বি’র দলগুলি নিজেদের মধ্যে দু’টি করে ম্যাচ খেলে। গ্রুপ ‘এ’র দলগুলির সঙ্গে খেলে একটি করে ম্যাচ। ২০২৮ সাল থেকে কোনও গ্রুপ থাকবে না। প্রতিটি দল পরস্পরের সঙ্গে দু’টি করে ম্যাচ খেলবে। পুরো লিগ হবে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। এর ফলে ম্যাচের সংখ্যা ২০টি বাড়বে।

Advertisement

এক সাক্ষাৎকারে ধুমল বলেছেন, ‘‘আইপিএলের ফরম্যাট পরিবর্তন নিয়ে বোর্ডের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আইসিসির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে আমাদের। পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। আইসিসির প্রতিযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি লিগ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ পর্যালোচনা করা হবে। পুরো বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। সব কিছু চূড়ান্ত করার আগে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তবে গুরুত্ব দিয়েই আমরা ভাবছি। প্রতিযোগিতার অংশীদারেরা যাতে সর্বাধিক লাভবান হয়, সেটাই নিশ্চিত করা দরকার।’’

তা হলে কি আরও বেশি দিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা? ধুমল বলেছেন, ‘‘বাড়তি সময় খুব একটা প্রয়োজন নেই। ৭৪টি ম্যাচের জায়গায় ৮৪টি বা ৯৪টি হবে। প্রত্যেক দল পরস্পরের সঙ্গে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেললে ৯৪টি ম্যাচ হবে। আইসিসির প্রতিযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়গুলোর জন্য পর্যাপ্ত সময় রাখতেই হবে। এখানে সময় কমানো খুব একটা সম্ভব নয়। তবে ক্রিকেট ক্রমশ বদলাচ্ছে। একটা সময় আমাদের হয়তো বিকল্প ভাবতেই হবে।’’

এ বছরও ৬৪ দিনের সূচিতে হচ্ছে আইপিএল। তা হলে ফরম্যাট পরিবর্তনে সমস্যা কোথায়। অতিরিক্ত ক্রিকেটের কথা বলেছেন ধুমল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ বছর প্রচুর ক্রিকেট রয়েছে। ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছে। তার পর শুরু হয়েছে আইপিএল। তাই এ বার আইপিএলে ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়নি। আমরা উপযুক্ত সময়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’’

আইপিএলে ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম বড় বাধা হতে পারে ক্রিকেটারদের চাপ। ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বাড়বে চাপও। বিদেশি ক্রিকেটারদের একাংশ আগ্রহ হারাতে পারেন। বিশেষ করে এখনও যাঁরা দেশের হয়ে খেলাকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখতে চাইছেন বিসিসিআই কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement