ইংল্যান্ডের উইকেট পড়ার পরে উল্লাস ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ছবি: পিটিআই
ওয়াংখেড়েতে দেখা গেল বোলারদের দাপট। গোটা দিনে পড়ল ১৯টি উইকেট। তার মধ্যে ইংল্যান্ডের ১০টি। বাংলার দীপ্তি শর্মার দাপটে প্রথম ইনিংসে ২৯২ রানে পিছিয়ে পড়ল ইংল্যান্ড। তখনই ম্যাচ তাদের হাত থেকে বেরিয়ে গেল। দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত। যা পরিস্থিতি তাতে তৃতীয় দিনেই ম্যাচ শেষ হয়ে যেতে পারে।
টেস্টের ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে এর আগে সর্বোচ্চ লক্ষ্য ছিল ৪১০ রান। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানকে সেই লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত এগিয়ে রয়েছে ৪৭৮ রানে। অর্থাৎ, চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য যাই হোক না কেন সেটা হবে মহিলাদের টেস্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লক্ষ্য।
প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে ৪০০ রান পার করেছিল ভারত। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে তার সঙ্গে খুব বেশি রান যোগ হয়নি। ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন দীপ্তি। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ রান করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৪২৮ রান করে ভারত। যে ভাবে প্রথম দিন ভারতীয় ব্যাটারেরা খেলেছিলেন তাতে দেখে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডও বড় রান করবে। কিন্তু আদতে হল তার উল্টো।
শুরু থেকেও উইকেট পড়তে শুরু করে ইংল্যান্ডের। একমাত্র ন্যাট শিভার-ব্রান্ট ছাড়া কেউ রান পাননি। ট্যামি বিউমন্ট, সোফিয়া ডাঙ্কলি, হেদার নাইটের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারেরা সুবিধা করতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবার শেষে বল করতে যান দীপ্তি। আর তার পরেই চমক দেখান তিনি। ইংল্যান্ডের মিডল ও লোয়ার অর্ডারকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
ড্যানিয়েল ওয়াট, এমি জোনস, সোফি একলেস্টোন, কেট ক্রস ও লরেন ফিলারকে আউট করেন দীপ্তি। ৫.৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন তিনি। দীপ্তির দাপটে ৩৫.৩ ওভারে ১৩৬ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। শিভার-ব্রান্ট ৫৯ রান না করলে তাদের সমস্যা আরও বাড়ত। প্রথম ইনিংসে ২৯২ রানের বিশাল লিড পায় ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ভাল করে ভারত। শেফালি বর্মা ও স্মৃতি মান্ধানা দ্রুত রান করছিলেন। শেফালি ৩৩ রানে আউট হন। মান্ধানা করেন ২৬ রান। তাঁরা আউট হওয়ার পরে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। জেমাইমা রদ্রিগেজ ২৭ ও দীপ্তি ২০ রান করেন। ইংরেজ বোলারদের সামনে ভারতীয় ব্যাটারেরাও সমস্যায় পড়ছিলেন। ১৩৩ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। সেখান থেকে দলকে সামলান অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ও পূজা বস্ত্রকর।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের রান ৬ উইকেটে ১৮৬। হরমনপ্রীত ৪৪ রানে ব্যাট করছেন। ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার ভারতের ৬টি উইকেট নেন। তাতে অবশ্য চাপে নেই ভারত। এখন থেকেই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে তারা।