শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।
আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট শুভমন গিল। একাধিক বার একটি আবেদন করলেও আম্পায়ারো সাড়া দেননি। যা নিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা যায় গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ককে। আম্পায়ারদের সঙ্গে হাল্কা বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়েন শুভমন।
আইপিএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১৬ ওভারের পর বল বদলের আবেদন করতে পারেন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফিল্ডিং করা দলের অধিনায়ক। শিশিরে বল ভিজে গেলে বোলারদের ধরতে অসুবিধা হয়। তাতে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যান প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারেরা। এই সুবিধা বন্ধ করতেই নতুন নিয়ম নিয়ে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে অধিনায়কেরা শুধু আবেদন করতে পারবেন। পরিস্থিতি বুঝে বল পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেবেন মাঠের আম্পায়ারেরা।
শনিবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের দুই আম্পায়ার উল্লাস গান্ধী এবং কান্নুর স্বরূপানন্দের কাছে একাধিক বার বল বদলের অনুরোধ করেন শুভমন। পন্থদের ইনিংসের ১৮তম ওভার শুরুর আগেই আম্পায়ারদের কাছে যান তিনি। আম্পায়ারেরা তাঁকে ফিরিয়ে দেন। সেই ওভারের মাঝামাঝি সময় আবার আবেদন করেন। দ্বিতীয় বারও ব্যর্থ হন। এর পর ১৯তম ওভার শেষ হওয়ার পরেও একই অনুরোধ নিয়ে আম্পায়ারদের কাছে যান গুজরাত অধিনায়ক। তৃতীয় বারও বল পরীক্ষা করে আম্পায়ারেরা তাঁর আবেদন খারিজ করেন। এর পরই শুভমনকে বিরক্ত দেখায়। আম্পায়ারদের সঙ্গে হাল্কা বাদানুবাদের পরিস্থিতিও তৈরি হয়। যদিও মেজাজ নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিলেন শুভমন।
লখনউ-গুজরাত শুরু হয় দুপুর সাড়ে তিনটেয়। খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে সন্ধে ৭.১৫ মিনিটে। ফলে খুব বেশি শিশিরের সমস্যা হয়নি এই ম্যাচে। সে কারণেই সম্ভবত শুভমনের বল পরিবর্তনের আর্জি মানতে রাজি হননি আম্পায়ারেরা।