গৌতম গম্ভীর। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর নেতৃত্বেই কেকেআর দু’টি আইপিএল জিতেছে। তিনি চলে যাওয়ার পর কেকেআরের ট্রফি ভাগ্যও ছেড়ে চলে যায়। কলকাতার মেন্টর হয়ে ফেরার পর কি আবার ট্রফি জিতবে তারা? আশাবাদী গৌতম গম্ভীর। তাঁর মতে, পরের বার ছেড়ে যাওয়ার আগে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন কেকেআরকে। পাশাপাশি এটাও জানালেন, কেকেআরের জন্যই তিনি নেতা হতে পেরেছেন।
সোমবার কেকেআরের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলের মালিক শাহরুখ খানের ভূয়সী প্রশংসা করেন গম্ভীর। বলেন, “একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই। আমি কেকেআরকে সফল করিনি। কেকেআর আমায় সফল করেছে। কেকেআরই আমাকে নেতা বানিয়েছে।” গম্ভীরের কথা শুনে সবাই হাততালি দিতে থাকেন।
আবেগের ব্যাপারে গম্ভীর বাকিদের থেকে বরাবরই এগিয়ে থাকেন। কেকেআরেও যে নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখবেন সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আমাকে সামলানো খুবই কঠিন। এত বছর ধরে আমার অত্যাচার সহ্য করার জন্য এসআরকে (শাহরুখ) এবং (বেঙ্কি) মাইসোরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আসলে আমি সত্যির বিরুদ্ধে লড়াই করতে জানি। আর জিততেও জানি।”
এ বার যে তিনি খোলা মনে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, সেটাও শুনিয়েছেন গম্ভীর। এই অধিকার তাঁকে দিয়েছেন খোদ শাহরুখই। গম্ভীরের কথায়, “যখন কেকেআরের যোগ দিয়েছিলাম তখন শাহরুখ যা বলেছিল, এ বারও সেটাই বলেছে, ‘দেখো, এটা তোমার ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। তুমি নিজের মতো করে তৈরি করা নাও’। জানি না মরসুমে কী অপেক্ষা করে রয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত করে দিতে চাই, যখন কেকেআর ছাড়ব, তখন দলটা আরও উপরের দিকে থাকবে।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে নীতীশ রানা, শ্রেয়স আয়ার, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিংহ-সহ কেকেআরের সব ক্রিকেটারেরাই উপস্থিত ছিলেন। আলাদা করে সুনীল নারাইনের প্রশংসা করেছেন গম্ভীর। বলেছেন, “ত্যাগের কথা বলতে গেলে তরুণ লাজুক একটা ছেলের কথাই মাথায় আসে। এই জার্সিতে কত কিছু সয়েছে। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ, নির্বাসনের পরেও প্রতি বছর খেলতে এসেছে এবং বছরের পর বছর পারফর্ম করে চলেছে। ওর নিরাপত্তার অভাব কাছ থেকে খুঁটিয়ে দেখেছি। আইপিএলের অন্যতম সেরা বোলার হয়ে উঠতেও দেখেছি।”