গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ নিযুক্ত হয়েছেন গৌতম গম্ভীর। আগামী শ্রীলঙ্কা সিরিজ় থেকে দায়িত্ব নেবেন তিনি। তার আগে ছাত্রদের বিশেষ বার্তা দিলেন নতুন কোচ। প্রথমত, দলের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, ফিটনেস বজায় রাখতে পারলে যে কোনও ক্রিকেটার তিন ধরনের ক্রিকেটই খেলতে পারেন।
কোচ নিযুক্ত হওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেছেন, ‘‘চোট খেলোয়াড়দের জীবনের অংশ। কেউ তিন ধরনের ক্রিকেট খেললে চোট লাগতেই পারে। চোট লাগলে আবার ফিট হয়ে ফিরতে হয়। তার পর আবার সে তিন ধরনের ক্রিকেটই খেলতে পারে। কাউকে নির্দিষ্ট কোনও ধরনের ক্রিকেটের জন্য চিহ্নিত করতে চাই না। কেউ শুধু টেস্ট খেলবে, এটা বলা যায় না। তার উপর যাতে বেশি চাপ না পড়ে বা চোট না লাগে, সেই ভাবে ব্যবহার করায় ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি না।’’ ক্রিকেটারদের জীবন নিয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘‘এক জন পেশাদার ক্রিকেটারের জীবন খুব বড় হয় না। সে যখন দেশের হয়ে খেলে, তখন তার লক্ষ্য থাকে যত বেশি সম্ভব খেলা। কেউ ভাল ফর্মে থাকলে, তার তিন ধরনের ক্রিকেটই খেলা উচিত।’’
ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের প্রতি গম্ভীরের পরিষ্কার বার্তা, ক্রিকেট দলগত খেলা। তাই দলের স্বার্থই তাঁর কাছে সব সময় অগ্রাধিকার পাবে। ৪২ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটারদের একটাই কথা বলতে চাই। সততার সঙ্গে খেল। পেশাদার হিসাবে যতটা সম্ভব ততটা সৎ থাকার চেষ্টা কর। তা হলেই সাফল্য পাবে। আমি যখন ব্যাট করতাম, তখন কখনও ফলের কথা ভাবতাম না। কখনও নিজের কথা ভেবে খেলিনি কথা। লক্ষ্য থাকত যত বেশি সম্ভব রান করা। পেশাগত ভাবে সব সময় সৎ থাকার চেষ্টা করেছি। তাতে যা হওয়ার হয়েছে। আসলে জীবনে কিছু নীতি থাকা দরকার। মূল্যবোধ নিয়ে বাঁচা উচিৎ। যেটা সঠিক মনে হয়, সেটাই করা উচিৎ। তাতে পুরে বিশ্ব বিরুদ্ধে চলে গেলেও নিজের নীতি থেকে সরে যাওয়া ঠিক নয়। বিশ্বাস রাখতে হবে, যেটা করছি সেটা দলের প্রয়োজনের জন্যই করছি এবং সেটাই সেরা।’’
গম্ভীর বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি আগ্রাসী ক্রিকেটের পক্ষে। প্রয়োজনে তর্কও করতে পারেন। ভারতীয় দলের নতুন কোচ বলেছেন, ‘‘মাঠে আগ্রাসী থাকতে পছন্দ করি। অনেক সময় তর্কে জড়িয়েছি। সব সময় দলের স্বার্থেই তর্ক করেছি। দলই শেষ কথা। তাই দলের স্বার্থ মাথায় রেখেই সব কিছু করার চেষ্টা করি। ক্রিকেট ব্যক্তিগত স্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ নয়। সকলের উচিত দলকে জেতানোর জন্য নিজের সেরাটা দেওয়া। দলগত খেলায় এটাই প্রয়োজন। মাথায় রাখতে হবে, ক্রিকেট কোনও ব্যক্তিগত খেলা নয়। তাই এখানে ব্যক্তিগত সাফল্যের কথা ভেবে খেললে হবে না। দলই সবার আগে। দলই সব। এক জন ক্রিকেটারের স্বার্থ সব শেষে।’’
‘হেডস্যর’ গম্ভীর প্রথমেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর অধীনে ব্যক্তিস্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে খেলতে হবে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলতে না পারলে, বাদ দিতেও দ্বিধা করবেন না।