বৃহস্পতিবার অনুশীলনে বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ের প্রথম দু’টি টেস্টে একটি ইনিংস বাদে বাকিগুলিতে ব্যাটিং ব্যর্থতার শিকার ভারত। বেঙ্গালুরুতে ৪৬ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার সামনে পড়তে হয়েছে। তা সত্ত্বেও ব্যাটারদের পাশে দাঁড়ালেন ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর। তবে এটাও জানালেন, ব্যাটারদের খারাপ শট খেলার পিছনে টি-টোয়েন্টির বাড়বাড়ন্ত একটা সম্ভাব্য কারণ।
মুম্বই টেস্ট শুরু হওয়ার আগের দিন গম্ভীর বলেছেন, “এই দলের সকলের নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। শুধুমাত্র ব্যাটারদের জন্য হেরেছি এটা বলতে কখনওই রাজি নই।” বেঙ্গালুরু টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সাড়ে চারশোর উপর রান তুলেছিল ভারত। তবে পুণেতে কোনও ইনিংসেই আড়াইশো পেরোতে পারেনি।
সিরিজ় হারলেও মুম্বই টেস্টে জিতলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের জায়গা মজবুত করা যাবে। তাই নতুন কাউকে খেলিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় ভারত। গম্ভীর জানিয়েছেন, হর্ষিত রানার খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
ভারতের কোচের কথায়, “অন্য কোনও ক্রিকেটারকে খেলানোর মতো পরিস্থিতি নেই। হর্ষিত রানা এই দলের সদস্য নয়। অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এখানে এসেছে। গত কাল অভিষেক (নায়ার) এটা বলে দিয়েছে।” আইপিএলের জগত থেকেও এখন দূরে গম্ভীর। প্রশ্ন উঠতেই বলেছেন, “আইপিএলের রিটেনশন নিয়ে ভাবছিই না। আমাদের সামনে একটা টেস্ট ম্যাচ রয়েছে।”
গত দু’টি টেস্টেই ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে রক্ষণের অভাব দেখা গিয়েছে। কেউ ধরে খেলার মানসিকতা দেখাতে পারেননি। গম্ভীর বলেছেন, “গোটা বিশ্বে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যত বাড়বে ততই ব্যাটারদের রক্ষণ করতে সমস্যা হবে। তবে সবচেয়ে সফল ক্রিকেটারেরা যে কোনও ফরম্যাটেই খেলুক, তাদের রক্ষণ শক্তিশালী হয়। আমরা সব সময় ওদের রক্ষণের কথা বলি। এটা নিয়ে পরিশ্রমও করছি। আশা করি ভবিষ্যতে ফলাফল দেখতে পাব।”
ব্যাটারদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে গম্ভীর এটাও বলেছেন, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলার মতো মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তাঁর কথায়, “টেস্ট ক্রিকেটকে টেস্ট ক্রিকেটের মতোই খেলা উচিত। তাতে এক দিনে যদি ৪০০ রান তুলতে হয় সেটাই করতে হবে। প্রত্যেক সেশনে ভাল খেলতে হবে। আমরা সাড়ে চার খানা সেশন খেলতে পারলেই অনেক রান তুলে দিতে পারি। যে ক্রিকেটার সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে সে-ই আসল। শুধু গ্যালারিতে ছয় হাঁকালে হবে না, স্ট্রাইক বদল করাও জানতে হবে।”