দলীপে উইকেট নেওয়ার পরে যশ দয়ালের উল্লাস। ছবি: পিটিআই।
৯ এপ্রিল ২০২৩ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ৫১৯ দিনে বদলে গেল ছবিটা। গত বছর ৯ এপ্রিল আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিংহের কাছে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা খেয়েছিলেন যশ দয়াল। হেরেছিল তাঁর দল গুজরাত টাইটান্স। রাতারাতি খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন যশ। সেই ধাক্কা সামলে ফিরেছেন তিনি। এমন ভাবেই ফিরেছেন যে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে ১৬ জনের দলে রয়েছেন তিনি। গত ৫১৯ দিনে কী ভাবে প্রত্যাবর্তন করলেন ভারতীয় ক্রিকেটার?
গত বছর আইপিএলে পাঁচ ছক্কা খাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যশ। বাকি ম্যাচগুলিতে আর খেলেননি তিনি। কমে গিয়েছিলে ওজন। তার পরে তাঁকে ছেড়ে দেয় গুজরাত টাইটান্স। গত বছরের নিলামে তাঁকে কেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ব্যর্থতা ভুলে পরিশ্রম করেছেন যশ। বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৪টি ম্যাচে ১৫টি উইকেট নিয়েছেন। তার মধ্যে ম্যাচ জেতানো স্পেলও রয়েছে। নতুন বলের পাশাপাশি পুরনো বলেও দাপট দেখিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় যশের। উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মোট ২৪টি ম্যাচ খেলেছেন যশ। ২৮.৮৯ গড়ে নিয়েছেন ৭৬টি উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক খেলে নজর কেড়েছেন এই বাঁহাতি পেসার।
দলীপেও ভাল বল করেছেন যশ। ভারত বি-র হয়ে ভারত এ-র বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৬ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ১ উইকেটে নিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ভারতে এখন যে বাঁহাতি পেসারের রয়েছেন তাঁদের মধ্যে যশের সঙ্গে লড়াই চলছিল আরশদীপ সিংহের। কিন্তু লাল বলের ক্রিকেটে আরশদীপ নজর কাড়তে পারেননি। ফলে যশকে সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচকেরা।
৫১৯ দিন আগে বদলে গিয়েছিল কেকেআরের রিঙ্কুর জীবন। পাঁচ ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সে বারের মরসুম তাঁকে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ করে দেয়। তার পর থেকে ছোট ফরম্যাটে নিয়মিত মুখ তিনি। সেই রিঙ্কু সে দিনও পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যশের। তাঁকে ভরসা দিয়েছিলেন। যশ নিজেও হাল ছাড়েননি। লড়েছেন। লজ্জার ৫১৯ দিন পরে আনন্দের মুখ দেখলেন ভারতীয় পেসার।