কোহলির মতো আগ্রাসী ক্রিকেটারকেও শান্ত রাখতে পারতেন অধিনায়ক ধোনি। ছবি: টুইটার।
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই তীব্র উত্তেজনা। দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে চলে কড়া স্লেজিং। তার মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারতেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। নিজে শান্ত থাকার পাশাপাশি বিরাট কোহলির মতো আগ্রাসী ক্রিকেটারদেরও সামলে রাখতেন। কী ভাবে? জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার সোহেল খান।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বরাবরই ভাল খেলেন কোহলি। তাঁকে দ্রুত আউট করতে পাক ক্রিকেটাররা দলের বোলারদের উপর যেমন ভরসা করেন, তেমনই কোহলিকে বিরক্ত করে মনঃসংযোগ নষ্ট করারও চেষ্টা করেন। কোহলিও কম যান না স্লেজিংয়ে। তেমনই এক ঘটনার কথা বলেছেন সোহেল। ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটি ঘটনা। সোহেল ব্যাট করতে এলে তাঁর কাছে এগিয়ে গিয়েছিলেন কোহলি। সোহেলের দাবি, ‘‘কোহলি বলেছিল, তুমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবে এসেছ। অথচ এত কথা কেন বল! জবাবে আমি বলেছিলাম, বাচ্চা তুমি যখন ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ দলে খেলতে তখন থেকে তোমার বাবা (নিজেকে কোহলির বাবা বলেন) টেস্ট ক্রিকেট খেলছে। আমি এত দিন ধরেই খেলছি। ২০০৬-০৭ সাল থেকে টেস্ট খেলছি। হাঁটুর চোটের জন্য কিছু দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে আমাকে।’’
উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে দেখে এগিয়ে এসেছিলেন উইকেটের অন্য প্রান্তে থাকা মিসবা উল হক। তিনি সোহেলকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিপক্ষের কথার উত্তর না দেওয়ার পরামর্শ দেন। সোহেল বলেছেন, ‘‘মিসবা যেমন আমাকে থামাতে এগিয়ে এসেছিল, তেমনই কোহলিকে শান্ত করতে এসেছিল ধোনি। ও কোহলিকে বলেছিল, পাশে সরে যাও। সোহেল অনেক পুরনো চাল। তুমি ওর সম্পর্কে জান না।’’ দুই অধিনায়কের হস্তক্ষেপের ফলে সোহেল-কোহলি বাদানুবাদ বেশি দূর গড়ায়নি।
বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ৫৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সোহেল। ধোনি, কোহলি ছাড়াও আউট করেছিলেন রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না এবং অজিঙ্ক রহাণেকে। সম্ভবত সে কারণেই সোহেলের উপর রেগে ছিলেন কোহলি। ভারত করেছিল ৭ উইকেটে ৩০০ রান। জবাবে পাকিস্তান আউট হয়ে যায় ২২৪ রানে। পাকিস্তানের হয়ে ২০১৭ সালে শেষ ম্যাচ খেলেন সোহেল। দেশের হয়ে ন’টি টেস্ট, ১২টি এক দিনের ম্যাচ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন সোহেল।