নিউজ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক চিঠিতে আরও লিখেছেন, ‘‘প্রযোজনা অসাধারণ। দারুণ সব মুহূর্ত চিত্রায়িত করা হয়েছে। পুরনো কিছু ফুটেজ ব্যবহার করা সত্ত্বেও সেই মুহূর্তগুলো ভীষণ জীবন্ত লেগেছে।
স্তুতি: পর্দায় ভারতের বিশ্বজয় দেখে মুগ্ধ হ্যাডলি। ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় নিয়ে তৈরি বলিউডের ছবি ‘৮৩’ দেখার পরে মুগ্ধ প্রাক্তন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক রিচার্ড হ্যাডলি। ক্রিকেট মাঠের বন্ধু ও ১৯৮৩ সালে বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক কপিল দেবকে আবেগপ্রবণ ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে অভিনন্দন জানালেন নিউজ়িল্যান্ড কিংবদন্তি।
চিঠিতে হ্যাডলি লিখেছেন, ‘‘ক্যাপস (কপিলের ডাক নাম), নেটফ্লিক্সে সদ্য ৮৩ ছবিটা দেখে উঠলাম। তার পরেই তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইচ্ছা হল। ছবিটা দেখে দারুণ লাগল। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপের সময়ে প্রায় ফিরে গিয়েছিলাম ছবিটা দেখার ফাঁকে। দারুণ প্রেরণাদায়ক ও হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ছবি। আমি মুগ্ধ হয়ে ব্যক্তি কপিলকে দেখেছি। কী ভাবে তুমি সতীর্থদের প্রেরণা দিয়ে তাঁদের উদ্দীপ্ত করেছিলে কাপ জিততে, তা দেখে দারুণ লাগল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘রেকর্ড বই না খুলেই বলছি, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তোমার সেই দুরন্ত ইনিংস আজও মনে আছে। তার পরে ফাইনালে উঠে কম রানের পুঁজি নিয়েও দু’বারের কাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে কাপ জিতেছিলে, তা-ও মাথায় রেখেছি। ছবিতে তুমি ও জিমি (মহিন্দর অমরনাথ) অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছ। তোমার ভূমিকায় রণবীর সিংহ দারুণ অভিনয় করেছে।’’
নিউজ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক চিঠিতে আরও লিখেছেন, ‘‘প্রযোজনা অসাধারণ। দারুণ সব মুহূর্ত চিত্রায়িত করা হয়েছে। পুরনো কিছু ফুটেজ ব্যবহার করা সত্ত্বেও সেই মুহূর্তগুলো ভীষণ জীবন্ত লেগেছে। ভারতীয় দল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিভিন্ন খেলোয়াড়ের ভূমিকায় কিছু অভিনেতা দারুণ কাজ করেছেন। বিশেষ করে ম্যালকম মার্শালের বোলিং অ্যাকশন দুর্দান্ত অনুকরণ করা হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে ৮৩ ছবিটি মুক্তি পেলেও, তার পরে করোনা সংক্রমণ ভারতে ফের বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই সিনেমা হলে গিয়ে এই ছবি দেখতে পাননি। তাই সম্প্রতি ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মেও দেখা যাচ্ছে ভারতের ১৯৮৩ সালে বিশ্বজয়ের উপর নির্মিত এই ছবিটি। হ্যাডলিও সে ভাবেই ছবিটি দেখেছেন
ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে।