এস শ্রীসন্থ। — ফাইল চিত্র।
ভারতের খেলাধুলোর সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের মধ্যে দুর্নীতি রোখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট চিন্তাভাবনার অভাব রয়েছে। তাই ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করার ক্ষেত্রে নেই কোনও শক্তপোক্ত আইন। সে কারণেই এস শ্রীসন্থের মতো ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ থাকলেও তাঁরা ছাড়া পেয়ে যান। এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার।
প্রায় ৩৭ বছর কর্মজীবনে ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটার একাধিক বিষয় সামলেছেন নীরজ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটা, যেখানে রাজস্থানের ক্রিকেটার শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চহ্বান ধরা পড়েন। তিন জনকে আজীবন নির্বাসিত করা হয়। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে শাস্তি কমানোর আবেদন করেন শ্রীসন্থ। শেষ পর্যন্ত তা কমিয়ে সাত বছর করা হয়। ২০২০-তে নির্বাসন শেষ হওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেওছেন শ্রীসন্থ। নীরজের দাবি, শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার যথেষ্ট প্রমাণ ছিল।
তিনি সংবাদ সংস্থাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ওই মামলাটা বেশি দূর এগোলোই না। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে ক্রিকেট তো বটেই, যে কোনও খেলায় দুর্নীতি রুখতে কোনও আইন নেই। জ়িম্বাবোয়ের মতো দেশেও আইন রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউ জ়িল্যান্ডে রয়েছে। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে কঠিন আইন রয়েছে। সেখানে ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল, টেনিস, গল্ফে দুর্নীতি হয়।”
২০০০ সালে হ্যান্সি ক্রোনিয়ের ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডেও তদন্ত করেছেন নীরজ। সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলে ছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, “ক্রীড়াবিদেরা অনেক খারাপ কাজ করে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই শাস্তি পেতে হয় না। ম্যাচ গড়াপেটায় বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। আদালত আপনাকে প্রশ্ন করবে, প্রতারিত হওয়া এক জনকে দেখান। তাঁকে আদালতে আনুন। কে আর এসে আদালতে বলবে যে আমি ভাল খেলা দেখতে গিয়েছিলাম, সেখানে দুর্নীতি হওয়ায় আমি প্রতারিত হয়েছি!”