সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট নিয়ে হাহাকার চলছে। বিক্ষোভ করছেন বাংলার ক্রিকেট সংস্থার (সিএবি) সদস্যেরা। এমন অবস্থায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন যে, বিশ্বকাপের এই টিকিটের দায়িত্ব ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। সিএবি-র এখানে কিছু করার নেই বলেও জানালেন বিসিসিআই-এর প্রাক্তন প্রধান। টিকিট নিয়ে যাবতীয় দায়িত্ব বোর্ডের ঘাড়ে ফেললেন সৌরভ। বোর্ডের সচিব জয় শাহ। যাঁর সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক খুব মসৃণ নয় বলেই শোনা যায়।
বৃহস্পতিবার ইডেনে এসেছিলেন সৌরভ। সেখানে তিনি বললেন, “টিকিটের দায়িত্ব ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। সিএবি-র সদস্যেরা টিকিট না পেলেও কিছু করার নেই। তা-ও তো সিএবি ৩০০০ টিকিট দিয়েছে সদস্যদের।” ২০১৯ সালে ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি হয়েছিলেন সৌরভ। গত বছর তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় রজার বিন্নীকে। সৌরভের সময়েও সচিব ছিলেন জয় শাহ। এখনও বোর্ডের সচিবের দায়িত্বে তিনিই।
রবিবার ভারতের ম্যাচের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে অনেককে। সেই প্রসঙ্গে সৌরভ বললেন, “সিএবি-র পক্ষে টিকিটের কালোবাজারি আটকানো সম্ভব নয়। তারা তো আর মহমেডান মাঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে না। এই দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হবে।”
বেশ কিছু দিন ধরেই টিকিট নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ হয়েছে। ঘোড়সওয়ার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাবের (এনসিসি) সদস্যদের টিকিট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, আগে এলে আগে পাবে এই ভিত্তিতে টিকিট দেওয়া হবে। স্বাভাবিক ভাবেই বেশ কিছু সদস্য টিকিট পাননি। টিকিট দেওয়া হচ্ছিল ইডেনের ১৩ নম্বর গেট থেকে। টিকিট না পেয়ে বেশ কিছু সদস্য বিক্ষোভ জানাতে শুরু করেন।
বুধবার সিএবি-র কর্তাদের বিরুদ্ধে ময়দান থানায় অভিযোগ করেছিলেন এক ক্রীড়াপ্রেমী। তাঁর অভিযোগ, অনলাইনে যে সংস্থা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির টিকিট বিক্রি করছে তারা এবং তাদের সঙ্গে বাংলার ক্রিকেট সংস্থা এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা টিকিট সরিয়ে দিয়েছেন। সেই টিকিট কালোবাজারে চলে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল বললেন, “টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৫৫টা টিকিট বাজেয়প্ত করা হয়েছে। সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, তাতে সিএবি উত্তর দিয়েছে। কিন্তু আমাদের আরও বিশদে জানতে হবে। আমরা তাই আবার উত্তর দিতে বলেছি। কী ভাবে টিকিট বুক করা হয় সেটাও জানতে হবে। সিএবি এবং যে সংস্থার মাধ্যমে টিকিট কাটা হয়েছে, তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে।”
কলকাতার নগরপাল রবিবারের ম্যাচের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বললেন, “ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত স্টেডিয়ামে মানুষদের ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার দিকটা আমাদের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্ব পাবে। সেই অনুযায়ী রাস্তার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ৪০০০ পুলিশকর্মী সেই দিন ম্যাচের দায়িত্বে থাকবেন।”