ম্যাচ শুরুর আগে কার্যত ফাঁকা ইডেন। ছবি: টুইটার।
ম্যাচের আগে টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি, প্রত্যাশামতো টিকিট না পেয়ে সমর্থকদের ক্ষোভ, ময়দানে ঘুরে বেড়ালেই টিকিটের কাতর আব্দার— ইডেনে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে এ রকমই খণ্ড খণ্ড চিত্র দেখা গিয়েছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডস বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে সমর্থকদের সংখ্যা দেখে অনেকেই হতাশ। মেরেকেটে হাজার সাতেক দর্শক ছিলেন খেলা শুরুর সময়। ৬৬ হাজারের স্টেডিয়ামে তা নেহাতই নগণ্য।
বিশ্বকাপ যে ১২টি মাঠে খেলা হচ্ছে, তার মধ্যে সব থেকে পরে খেলা শুরু হয়েছে ইডেনে। শনিবারই সেখানে প্রথম ম্যাচ হচ্ছে। পুজো এবং বিভিন্ন উৎসবের কারণে এখানে আগে ম্যাচ দেওয়া যায়নি। ক্রিকেটের নন্দনকানন বলে পরিচিত শহরে প্রথম ম্যাচে দর্শকদের এমন অনীহা দেখে অনেকেই অবাক। যতই নেদারল্যান্ডস বনাম বাংলাদেশের ম্যাচ হোক, কলকাতা বরাবরই বিভিন্ন দেশকে আপন করে নিয়েছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টির যুগে লক্ষ্মীপুজোর ছুটিতেও ইডেন দর্শক টানতে ব্যর্থ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতা সবচেয়ে কাছে। ফলে ম্যাচের দিন দুয়েক আগে থেকেই পড়শি দেশ থেকে অনেক সমর্থক এসেছেন। এমনিতেই ঢাকা থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে বছরের সব সময়েই লোক আসেন। ক্রিকেটের সৌজন্যে আরও অনেকে এসেছেন। মধ্য কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে ঘর ফাঁকা নেই। ইডেনে ভিড় করতে দেখা গিয়েছে তাঁদেরই। বাংলাদেশের জার্সি পরে সমর্থকেরা ম্যাচের আগে থেকেই দলে দলে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন।
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের সমর্থকদের নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস বলেই কলকাতার সমর্থকেরা এই ম্যাচ দেখতে হাজির হননি। এর পরে পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড বা পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে স্টেডিয়াম ভর্তি হয়ে যাবে। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ তো হাউসফুল হবে বলে ধরেই নিয়েছেন আয়োজকেরা।