সতীর্থের সঙ্গে উচ্ছ্বাস দীপ্তির (ডান দিকে)। ছবি: এক্স।
মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে এ বার সে রকম উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স পাওয়া যায়নি তাঁর থেকে। কিন্তু দরকারের সময় খেলে দিলেন বাংলার দীপ্তি শর্মা। মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) শুক্রবার ব্যাটে-বলে তাঁর পারফরম্যান্স দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১ রানে জেতাল ইউপি ওয়ারিয়র্সকে। এ বারের ডব্লিউপিএলে হয়তো বচেয়ে উত্তেজক ম্যাচটি হল শুক্রবারই।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার কিরণ নবগিরেকে হারায় ইউপি। তাঁর স্টাম্প ছিটকে দেন বাংলার বোলার তিতাস সাধু। এর পর অধিনায়ক অ্যালিসা হিলির সঙ্গে জুটে বেধে ইউপি-র ইনিংস টানতে থাকেন দীপ্তি। ৪৬ রানের জুটি হওয়ার পর ফিরে যান হিলি (২৯)। এর পর ইউপি-র বাকি ক্রিকেটারদের আসা-যাওয়া চলতেই থাকে। একমাত্র গ্রেস হ্যারিস (১৪) বাদে আর কেউ দু’অঙ্কের রান পেরোতে পারেননি। দীপ্তি একাই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৬টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে ৪৮ বলে ৫৯ রান করে আউট হন তিনি।
জবাবে দিল্লি শুরুটা করে ভালই। অধিনায়ক মেগ ল্যানিং ১২টি চারের সাহায্যে ৪৬ বলে ৬০ রান করে একাই জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়ে যান। বাকি ব্যাটারেরা কেউ বড় রান না পেলেও নিজেদের মতো করে অবদান রাখেন। কিন্তু শেষ দিকে চাপে পড়ে দিল্লি।
১৮তম ওভার সবে শেষ হয়েছে। দিল্লির স্কোর তখন ১২৪-৪। ১২ বলে ১৫ রান দরকার। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, খেলা বেশি দূর গড়াবে না। হাসতে হাসতে দিল্লি ম্যাচ বার করে নেবে। তা হতে দেননি দীপ্তি। সেই ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম দু’বলে আউট করেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড এবং অরুন্ধতী রেড্ডিকে। পঞ্চম বলে ফেরান শিখা পান্ডেকে।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম বলেই হ্যারিসকে ছয় মারেন রাধা যাদব। পরের বলে দু’রান নেন। তৃতীয় বলে ফিরে যান। চতুর্থ বলে রান আউট হয়ে যান জেস জোনাসেন। দু’বলে এক সময় দু’রান দরকার ছিল। তিতাস সাধু এসেই ক্যাচ তুলে দেন ড্যানিয়েল ওয়াটের হাতে। এক রানে জেতে ইউপি।