টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে কামিন্সের দলে অশান্তির আঁচ। ছবি: টুইটার।
কয়েক দিন পরেই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। তার আগে প্যাট কামিন্সের দলে অশান্তির আবহ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলের এক ব্যাটার।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব নিয়ে সুর চড়িয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। স্টিভ স্মিথকে আবার অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হলেও ওয়ার্নারের নাম বিবেচনা করছেন না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তারা। ২০১৮ সালে বল বিকৃত করার দায়ে স্মিথ এবং ওয়ার্নারকে আজীবন নেতৃত্ব নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। শাস্তি ওঠার পর কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে স্মিথকে। কিন্তু ওয়ার্নারের কথা বিবেচনা করা হয়নি এখনও। যদিও গত নভেম্বরে ওয়ার্নারের আবেদনের ভিত্তিতে তাঁর শাস্তি মকুব করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘পুরো বিষয়টাই হাস্যকর। আমি চেয়েছিলাম একটা সমাধানের পথ খুঁজতে। আর কর্তারা উত্তর না দিয়ে সমানে বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কেউ কথা বলতেই চাননি। দায়িত্ব নিতে চাননি। সিদ্ধান্ত নিতে চাননি। এমন একটা প্রশাসন যেখানে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউ নেই।’’
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে স্মিথকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে এই টেস্টের পর ইংল্যান্ডের সঙ্গে অ্যাশেজ সিরিজ় খেলবেন কামিন্সরা। দু’দলেই রয়েছেন ওয়ার্নার। তাঁর মূল ক্ষোভ শাস্তি মকুব নিয়ে কর্তাদের টালবাহানায়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সমস্যাটা শুরুতেই শেষ করে দিতে পারতেন কর্তারা। অথচ টেস্ট খেলার দিনগুলোতেও আমাকে ফোনে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। এ সবের কোনও দরকারই ছিল না। গোটা ব্যাপারটাই আমার কাছে অত্যন্ত অসম্মানজনক ছিল। এ ভাবে খেলায় মনঃসংযোগ করা খুব কঠিন। এ ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করা যায় না।’’
ওয়ার্নার জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শাস্তি মকুবের আবেদন করেছিলেন। তার ন’মাস পর নভেম্বরে প্রক্রিয়া শুরু করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্নার। এ বারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার।