মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (বাঁ দিকে) ও বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
তিনি শুধু একজন সতীর্থ ক্রিকেটার নন, তিনি দলের বড় দাদা। যে কোনও সময় যে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। মনের কথা বলতে পারেন। সমস্যা সমাধানের উপায়ও চাইতে পারেন। সব কিছুই বাতলে দেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কিন্তু কোনও দিন কিছু ফাঁস করেন না। বিরাট কোহলির খারাপ সময়েও তিনিই একমাত্র মেসেজ করেছিলেন। ধোনির সঙ্গে কী কথা হয়েছিল কোহলির, সেই কথা মনের মধ্যেই রেখে দিতে চান ধোনি।
২০২২ সালে কোহলি যখন কয়েক মাসের মধ্যে ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেই সময় একমাত্র ধোনির মেসেজ পেয়েছিলেন। আর কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এ বারের আইপিএল শুরুর আগে সেই বিষয়ে ধোনিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কী কথা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে? জবাবে ধোনি বলেন, “আমি আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে পারি। কিন্তু আমাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল তা বলব না। আমি এ রকমই। তার জন্যই তো যে কেউ এসে আমার কাছে মনের কথা বলতে পারে।”
ধোনি জানিয়েছেন, তাঁকে সকলে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস ভাঙতে চান না তিনি। চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটারের কথায়, “ওরা ভাবে, ধোনিভাইয়ের সঙ্গে সব বিষয়ে কথা বলা যায়। যে কথাই হোক না কেন, তৃতীয় কেউ জানতে পারবে না। এই বিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যে ক্রিকেটারদের সঙ্গে হয়তো আপনি আগে খেলেননি, ভবিষ্যতেও কোনও দিন খেলবেন না, তাদেরও দরকার পড়তে পারে। তারাও ক্রিকেট নিয়ে, জীবন নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারে। সেখানেও বিশ্বাস রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওই সব কথা আমার মনের মধ্যেই থাকে। কেউ জানতে পারে না।”
তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তা না জানালেও ধোনি জানিয়েছেন যে তিনি সৎ পরামর্শ দিয়েছিলেন কোহলিকে। তাঁদের মধ্যে মাঠের বাইরেও যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন ধোনি। তিনি বলেন, “কোহলি শুরু থেকেই দলের জন্য নিজের সেরাটা দেয়। ও এমন নয় যে ৪০, ৫০ রানে সন্তুষ্ট থাকবে। ও শতরান করেও অপরাজিত থাকতে ভালবাসে। এই খিদেটা ওর শুরু থেকে রয়েছে। ওর ফিটনেসও দুর্দান্ত। ওর সঙ্গে শুরু থেকেই আমার খুব ভাল সম্পর্ক। আমরা মাঠের বাইরেও অনেকটা সময় কাটাই। ও জানে, যে কোনও বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারে। আমি ওকে সৎ পরামর্শই দিই।”
কোহলির যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল, তখন ধোনিই অধিনায়ক। পরে সেই কোহলির হাতেই অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন ধোনি। তাঁকে প্রথম বার ‘চিকু’ নামে ধোনিই ডেকেছিলেন। ধোনির রাঁচীর বাড়িতেও কোহলিকে মাঝেমাঝে দেখা গিয়েছে। ধোনির কন্যা জিভার সঙ্গেও কোহলির খুনসুটির অনেক ভিডিয়ো রয়েছে। কোহলি নিজেও বার বার জানিয়েছেন, ধোনি তাঁর বড় দাদার মতো। সেই দাদাও কোহলির বিশ্বাস ভাঙতে চান না। সব গোপন কথা নিজের মনের মধ্যেই রেখে দিতে চান তিনি।