ফাইল চিত্র।
রঞ্জি ট্রফি আদৌ আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে ছিল সংশয়। জয়দেব উনাদকাট থেকে ফৈয়জ় ফজ়ল, সকলেই বক্তব্যে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, রঞ্জি বাতিল হওয়ার বিরুদ্ধে তাঁরা।
শুক্রবার প্রাক্তন ভারতীয় হেড কোচ রবি শাস্ত্রীও টুইট করেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফি কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ড। এই প্রতিযোগিতা বন্ধ হলে ভারতীয় ক্রিকেটও মেরুদণ্ডহীন হয়ে যাবে।’’ তবে নানা সমস্যার মধ্যেও এদিন ভারতীয় বোর্ডের সচিব জয় শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, দু’দফায় আয়োজন করা হবে রঞ্জি ট্রফি।
খবর শোনার পর থেকে রাজ্য স্তরের ক্রিকেটারেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন। করোনার প্রকোপে শেষ বার রঞ্জি ট্রফি বাতিল হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন বহু ক্রিকেটার। আইপিএল খেলার সুযোগ পান না অনেকেই। রঞ্জি ট্রফিই অনেক ক্রিকেটারের আর্থিক উপার্জনের রাস্তা। ভারতে নতুন ক্রিকেটারেরা উঠে আসেন এই প্রতিযোগিতা থেকেই। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘সাপ্লাই লাইন’ এই প্রতিযোগিতা। পরিস্থিতি জটিল হতে থাকলেও বোর্ড যে রঞ্জি আয়োজন করার কথা ভাবছে, তাতেই খুশি পারভেজ় রসুল, ফৈয়জ় ফজ়ল, জলজ সাক্সেনা থেকে অভিমন্যু ঈশ্বরনের মতো ক্রিকেটারেরা।
বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু বলছিলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পর থেকে মাঠে নামার জন্য তর সইছে না। শোনা যাচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে আমাদের প্রবেশ করতে হবে। তার আগে প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাই না। বাংলা শেষ বার রানার্স হিসেবে প্রতিযোগিতা শেষ করেছে। চেষ্টা করব, আমাদের দল যেন আরও এক বার ভাল ক্রিকেট উপহার দিতে পারে।’’