চোট না সারিয়ে ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলার অভিযোগ বুমরার বিরুদ্ধে। ফাইল ছবি।
জাতীয় দলে জায়গা হারানোর ভয়ে চোট পুরোপুরি না সারিয়েই মাঠে নেমে পড়ছেন ক্রিকেটাররা। প্রয়োজনে নিচ্ছেন ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন। দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটাররাও হাঁটছেন ঝুঁকির এই রাস্তায়। তেমন করতে গিয়ে এখনও চোট সারেনি যশপ্রীত বুমরার। একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়োতে এমনই বলতে শোনা গিয়েছে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মাকে। যদিও জ়ি নিউজ়ের ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
গোপন ক্যামেরায় চেতনের করা দাবি অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে চোট পুরোপুরি না সারিয়েই খেলেছিলেন বুমরা। তিনি একটি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। ছোটখাটো চোটের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা অনেক সময় এ রকম ইঞ্জেকশন নেন। বুমরা ব্যথা কমিয়ে খেলতে গিয়ে নিজের চোট আরও বাড়িয়ে ফেলেছেন। যে কারণে এখনও ভুগছেন তিনি।
জাতীয় দলে জায়গা হারানোর ভয় থেকেই ক্রিকেটাররা সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়েই মাঠে নেমে পড়ছেন বলে ওই ভিডিয়োতে দাবি করেছেন চেতন। প্রধান নির্বাচক বুমরার পরিণতির জন্য জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। ভিডিয়োয় তাঁকে দাবি জানাতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এক জন ক্রিকেটারের উপর প্রতি মুহূর্তে নজরে রাখা সম্ভব নয়। তাই কে ইঞ্জেকশন নিচ্ছে তা প্রমাণ করা সম্ভব নয়।’’ ভিডিয়োয় চেতনের দাবি, ‘‘দেশের অনেক খেলোয়াড়ের মধ্যেই এই রকম প্রবণতা তৈরি হয়েছে। প্রথম সারির অনেক ক্রিকেটারও চোট সম্পূর্ণ না কমিয়ে ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলছে।’’ গোপন ক্যামেরার ভিডিয়োয় চেতনকে বলতে শোনা গিয়েছে, এই ধরনের ইঞ্জেকশনে ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়ার ভয় থাকে না।
জ়ি নিউজ়ের গোপন ক্যামেরায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভিতরের নানা খবর ফাঁস করতে শোনা গিয়েছে চেতনকে। তাঁর একাধিক দাবি নিয়ে উঠতে পারে বিতর্কের ঝড়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিরাট কোহলির সম্পর্কের অবনতি নিয়েও গোপন ক্যামেরার সামনে মুখ খুলেছেন তিনি।