সেরা: লিগ জেতার পরে ভবানীপুরের ক্রিকেটারেরা। নিজস্ব চিত্র
সিএবি প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ফাইনালে কালীঘাটের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হল ভবানীপুর ক্লাব। ইডেনে প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রান করে কালীঘাট। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৫৫৫ রান করে ভবানীপুর ক্লাব। ১৯৫ রান করেন অগ্নিভ পান। ৯০ রানে অপরাজিত থাকেনআমির গনি।
আব্দুল মোনায়েমের প্রশিক্ষণে শেষ চার বছরে তিন বার চ্যাম্পিয়ন হল ভবানীপুর। মরসুম জুড়ে একের পর এক ম্যাচ জেতান কৌশিক ঘোষ ও অভিষেক রামন। ফাইনালে তাঁরা রান না পেলেও দলগত প্রয়াসের ফল পেল ভবানীপুর ক্লাব। অলরাউন্ডার প্রদীপ্ত প্রামাণিকও ৬৪ বলে ৫১ রান করে যান। তিনি বলছিলেন, ‘‘ট্রফি জিতে সমালোচনার জবাব দিয়েছি। আমরা সকলে মরিয়া ছিলাম। প্রত্যেকে এই দলটাকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে। মাঠে একশো শতাংশ দেয়। তার ফলই পেলাম আজ।’’
ভবানীপুর দলের কোচ আব্দুল মোনায়েমের কথায়, ‘‘বাংলাকে নতুন ক্রিকেটার উপহার দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা প্রত্যেক বার দল গড়ি। সব সময়ই চেষ্টা করি, তরুণদের সুযোগ দেওয়ার। এগারোজনই লড়াকু ক্রিকেটার। কেউ না কেউ ঠিক ভাল ইনিংস খেলে দেয়।’’
মরসুমে বেশ কয়েকটি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জিতেছে ভবানীপুর। তাঁদের হার-না-মানা লড়াই প্রমাণ করেছে, হারার আগে হারতে নেই। এ বারের ক্রিকেট মরসুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কৌশিক ঘোষ। করেছেন ১১০১ রান। তিনি বলছিলেন, ‘‘মরসুমে দু’টি প্রতিযোগিতায় ট্রফি জিততে পারিনি। যে কোনও মূল্যে লিগ জিততে চেয়েছি। আজ ম্যাচ শেষে সকলে আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিল। লিগ জেতার মর্যাদা অন্য রকম। এই প্রাপ্তি খুবই বিশেষ।’’
ইডেনে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার মাঝেও যে ২৮৪ রানের বেশি ভবানীপুর তুলে দেবে, অনেকেই আশা করেননি। কিন্তু আব্দুল মোনায়েমের প্রশিক্ষণে এই দলটি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে শিখেছে। কোচের কথায়, ‘‘দলকে ট্রফি দিতে পারার মতো প্রাপ্তি আর কিছুতে নেই। খুশি হব, এই দল থেকে যদি বেশ কয়েক জন বাংলার হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ পায়।’’
সংক্ষিপ্ত স্কোর: কালীঘাট ক্লাব ২৮৪ ও ৪৩-২ বনাম ভবানীপুর ৫৫৫ (অগ্নিভ ১৯৫)। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর।