(বাঁদিকে) অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এবং কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। —ফাইল চিত্র।
বিহারের বিরুদ্ধে প্রত্যাশা মতোই সহজ জয় পেল বাংলা। রবিবার বিহারের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ১১২ রানে। ইনিংস এবং ২০৪ রানে ম্যাচ জিতে রঞ্জি অভিযান শেষ করলেন মনোজ তিওয়ারিরা। ৬ উইকেট নিয়ে বাংলার সহজ জয়ের অন্যতম নায়ক মুকেশ কুমার। এই ম্যাচ খেলেই অবসর নিলেন মনোজ। ম্য়াচ শেষে সতীর্থদের কাঁধে চড়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। রবিবার বিকালে মনোজকে সংবর্ধনা জানাবে সিএবি।
শনিবার খেলার শেষে বিহারের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল ১ উইকেটে ৩২ রান। রবিবার ২ ঘণ্টার মধ্যেই বিহারের বাকি ৯টি ইনিংস তুলে নিলেন বাংলার বোলারেরা। বাংলার বোলিংকে নেতৃত্ব দিলেন মুকেশ। এই ম্যাচের জন্য ভারতীয় দল থেকে তাঁকে চেয়ে নিয়েছিলেন মনোজেরা। বিশাখাপত্তনম টেস্ট খেলে রঞ্জি খেলতে নামা মুকেশ নিলেন ম্যাচে ১০ উইকেট। স্মরণীয় করে রাখলেন অধিনায়কের ক্রিকেটজীবনের শেষ ম্যাচ। মাত্র ৩২ রান খরচ করলেন তিনি। ৩৪ রান দিয়ে বিহারের বাকি ৪টি উইকেট নিলেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৪১১ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেন মনোজেরা। দ্বিশতরান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তার পর বিহারের প্রথম ইনিংস ৯৫ রানে শেষ হয়ে গেলে ফলো অন করে তারা।
বিহারের কোনও ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য রান করতে পারলেন না। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করলেন এস গনি। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৮ রান। বিপিন সৌরভ (২২) এবং পরমজিৎ সিংহ (২৩) কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া ২৪ রান করেছেন ওপেনার মাহরুর। বড় ব্যবধানে ইডেন গার্ডেন্সে জিতেও রঞ্জি ট্রফির নকআউট পর্বে অবশ্য এ বার খেলা হবে না বাংলার।
রবিবার ম্যাচ শেষ হওয়ার পর অধিনায়ক মনোজকে কাঁধে তুলে নেন বাংলার অন্য ক্রিকেটারেরা। সতীর্থদের কাঁধে চেপে তাঁদের জয়ধ্বনিতে মাঠ ছাড়লেন তিনি। গোটা দলের একটি ছবি এবং সব ক্রিকেটারের সই করা একটি বাঁধানো জার্সি উপহার দেওয়ার হয়। মনোজের হাতে উপহার তুলে দেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। রবিবার বিকালেই মনোজকে সংবর্ধনা জানাবে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি)। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান এবং অবসরের জন্য সংবর্ধনা জানাবে সিএবি। বিকাল ৫টার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।