অবসর স্টোকসের। ছবি রয়টার্স
হঠাৎই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন বেন স্টোকস। সোমবার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক জানিয়ে দিলেন, মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্য়াচই তাঁর জীবনের শেষ এক দিনের আন্তর্জাতিক। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে দুর্দান্ত খেলা স্টোকসের আচমকা অবসরে হতবাক গোটা বিশ্ব।
এ দিন স্টোকস লিখেছেন, ‘মঙ্গলবার ডারহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ এক দিনের ম্যাচে নামতে চলেছি। তার পর এই ফরম্যাট থেকে আমি অবসর নেব। খুব কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে ইংল্যান্ডের সতীর্থদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমি মনে রাখব। একটা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলাম এই ক’দিনে। সিদ্ধান্তটা নেওয়া কঠিন হলেও, সতীর্থদের এটা জানিয়ে দিতে চাই যে, এই ফরম্যাটে হয়তো এর পর থেকে ১০০ শতাংশ দিতে পারতাম না। ইংল্যান্ডের জার্সিতে কারওর খারাপ খেলার অধিকার নেই।’
২০১১ সালের ২৫ অগস্ট ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। এখনও পর্যন্ত ১০৪টি ম্যাচ খেলে ২৯১৯ রান করেছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০২। তিনটি শতরান এবং ২১টি অর্ধশতরান রয়েছে। মঙ্গলবার ১০৫তম এক দিনের ম্যাচ খেলতে নামবেন। তার পরেই অবসর নেবেন স্টোকস। সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে খুব একটা ভাল ছন্দে ছিলেন না। তিনটি ম্যাচে মোট ৪৮ রান করেছেন। একটিও উইকেট পাননি। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তিন ফরম্যাটে খেলার ধকল নিতে পারছেন না। সম্প্রতি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ ‘দ্য হানড্রেড’ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আগামী বছর ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে না গত বিশ্বকাপের নায়ককেই।
তবে স্টোকসকে লোকে মনে রাখবে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে দুর্দান্ত খেলার জন্যেই। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৪২ রান তাড়া করতে নেমে ৭৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে খেলা ধরেন স্টোকস এবং জস বাটলার। ৯৮ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের জায়গায় নিয়ে যান। নির্ধারিত ওভারে দু’দলের স্কোরই দাঁড়ায় সমান। এমনকি সুপার ওভারের দু’দলের স্কোর একই ছিল। তবে বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে বিশ্বকাপে জয়ী হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচের সেরা হন স্টোকসই।
সম্প্রতি জো রুটের থেকে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন স্টোকস। নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ হারিয়ে অধিনায়ক হিসাবে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। এজবাস্টন টেস্টেও ভারতকে হারান। বোঝাই যাচ্ছে, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে আরও মনঃসংযোগ করতে চাইছেন তিনি।