আদিত্য ঠাকরে। —ফাইল চিত্র।
ভারতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ হলেই ফাইনালটা মুম্বইয়ে হওয়া উচিত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার মুম্বইবাসীর উন্মাদনা দেখার পর দাবি তুলেছেন আদিত্য ঠাকরে। শিবসেনা নেতার সেই দাবি খারিজ করে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল।
রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের ভিক্টরি প্যারেড দেখতে মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভে জনতার ঢল নেমেছিল। তিলধারণের জায়গা ছিল না গোটা রাস্তায়। বাইরে থেকেও এসেছিলেন বহু মানুষ। বিজয় উৎসব নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। তা দেখে সমাজমাধ্যমে ঠাকরে লেখেন, ‘‘মুম্বইয়ে উদ্যাপনের মধ্যে দিয়ে বিসিসিআইকে আসলে একটা কড়া বার্তা দেওয়া হল। মুম্বই থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল কখনও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়!’’
২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল আমদাবাদে। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সে কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত সব ফাইনাল মুম্বইয়ে আয়োজন করতে বলেছেন শিবসেনা নেতা।
আদিত্যের দাবি কি বোর্ড মানবে? শুক্ল বলেছেন, ‘‘ফাইনাল কোথায় হবে, এটা নির্ভর করে বিসিসিআইয়ের নীতি অনুযায়ী। সব সময় একটি শহরেই ফাইনাল দেওয়া যায় না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। তার পর থেকে কলকাতাকে ক্রিকেটের মক্কা বলতেন অনেকে। তাই বলে পরের ফাইনালগুলো তো ওখানে হয়নি। মুম্বইয়ে কিন্তু বিশ্বকাপের ফাইনাল, সেমিফাইনাল সব হয়েছে। আগের বছর আমদাবাদে ফাইনাল হয়েছে। ওখানে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ খেলা দেখতে পারে। একটা সময় ইডেনেও ৮০ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা ছিল। বোর্ডকে সব শহরের কথা মাথায় রাখতে হয়। সারা দেশেই ক্রিকেটপ্রেমীরা আছেন।’’
বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয় পর্যায়ক্রমে। কোন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা কোন ম্যাচের দায়িত্ব পাবে, তা নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট সূচি মেনে। ম্যাচের দায়িত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে সমাঞ্জস্য বজায় রাখতেই এই নীতি মেনে চলে বিসিসিআই। তাই চাইলেই একটি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে সব ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। তেমন হলে বাকি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলি প্রতিবাদ করতে পারে। তাতে বিঘ্নিত হতে পারে সুষ্ঠু ব্যবস্থা।