আইপিএল ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
আরও দীর্ঘ হচ্ছে আইপিএল। আগামী তিন বছর আরও বেশি দিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছে, দিনে দু’টি করে ম্যাচ আয়োজন ক্রমশ বন্ধ করে দেওয়া হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বার্থে।
২০২৪ সালে আইপিএল চলেছিল ৬৬ দিন ধরে। ২০২৫ সালে প্রতিযোগিতা চলবে ৭২ দিন ধরে। ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে আরও বেশি দিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা। এই দু’বছর আইপিএল হবে ৭৮ দিন ধরে। অর্থাৎ, ক্রমশ বড় হচ্ছে প্রতিযোগিতা। প্রস্তুতি শিবির মিলিয়ে বছরের চার ভাগের এক ভাগ সময় (প্রায় তিন মাস) আইপিএলেই ব্যস্ত থাকতে হবে ক্রিকেটারদের।
বেশি দিন ধরে প্রতিযোগিতা চললেও ম্যাচের সংখ্যা অবশ্য বৃদ্ধি পাবে না। দলের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও নেই বিসিসিআইয়ের। গত কয়েক বছরের মতো ৭৪টি করেই ম্যাচ হবে আগামী তিন বছর। যদিও, ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির সময় আগ্রহী চ্যানেলগুলিকে ৮৪টি ম্যাচের আইপিএল আয়োজনের কথা জানিয়েছিল বিসিসিআই। ক্রিকেটারদের চাপের কথা মাথায় রেখে সে পথে হাঁটতে চাইছেন না বোর্ড কর্তারা। তবু প্রতিযোগিতা বেশি দিন ধরে চলার কারণ হল সূচি। মূলত ব্যবসায়িক কারণে এক দিনে দু’টি ম্যাচ যতটা সম্ভব কম রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রচারকারী চ্যানেলের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। ক্রমশ বন্ধ করে দেওয়া হবে আইপিএলের দুপুরের ম্যাচ। সম্প্রচারকারী চ্যানেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দুপুরের ম্যাচগুলির দর্শক সংখ্যা অনেক কম। ফলে চ্যানেলের ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছে। ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে নারাজ বিসিসিআই কর্তারা অবশ্য ব্যবসায়িক বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতার সব খেলা সন্ধ্যায় আয়োজনের কথা ভাবা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দিন একটি করে খেলা হবে। ২০২৬ থেকে এক দিনে দু’টি ম্যাচ না করার ভাবনা রয়েছে বোর্ডের। উল্লেখ্য, গত আইপিএল থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। ২০২৩ সালের আইপিএলে ১৮ দিন দু’টি করে ম্যাচ হয়েছিল। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা কমিয়ে ১১ দিন করা হয়।
২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল আইপিএল। সে বার ৪৪ দিনে শেষ হয়েছিল প্রতিযোগিতা। ম্যাচ হয়েছিল ৫৯টি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত আইপিএলের দিন বা ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়নি। ২০১৮ সাল থেকে কোনও বার ম্যাচের সংখ্যা আবার কোনও বছর দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া বহরে বেড়েছে আইপিএল।
আগামী ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর হবে আইপিএলের নিলাম। আগেই প্রতিযোগিতার ১০টি দলকে বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৫ সালের আইপিএল শুরু হবে ১৪ মার্চ। ফাইনাল ২৫ মার্চ।