ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদর সফতর। —ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তান ক্রিকেটের দিকে আগেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এ বার আরও এক প্রতিবেশী দেশের পাশে থাকার কথা জানাল দিল বিসিসিআই।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কিছু দিন আগে নেপালের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ করল বিসিসিআই। নেপালে ক্রিকেটের আধুনিক পরিকাঠামো তৈরির পাশাপাশি, নেপালের ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ এবং আরও বেশি প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ করে দেবে বিসিসিআই। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নেপালের জাতীয় দল দিল্লিতে কিছু দিন প্রস্তুতি শিবির করবে। স্থানীয় দলগুলির সঙ্গে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলতে পারে তারা।
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ নেপালের (সিএএন) সভাপতি চতুর বাহাদুর শুক্রবার বৈঠক করেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহর সঙ্গে। সেই বৈঠকেই তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিসিসিআইকে নেপাল ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সহযোগিতার অনুরোধ করেন। সিএএনের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘কিছু দিন আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায় সিএএন সভাপতি চতুর বাহাদুর কথা বলেছিলেন জয় শাহের সঙ্গে। বিসিসিআই সচিব তাঁকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই মতো শুক্রবার সিএএন সভাপতি দিল্লিতে বৈঠক করেছেন বিসিসিআই সচিবের সঙ্গে। নেপাল কী ধরনের সাহায্য চায়, তা বিস্তারিত প্রস্তাব আকারে দিতে বলেছেন জয়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বিসিসিআই সাধ্য মতো নেপালের ক্রিকেটীয় প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করবে।’’
আফগানিস্তানের জাতীয় দল এবং অনূর্ধ্ব ১৯ দল বেশ কয়েক বছর অনুশীলন করেছে দিল্লি সংলগ্ন গ্রেটার নয়ডায়। ভারতের একাধিক স্টেডিয়ামে হোম সিরিজ়ও খেলেছেন রশিদ খানেরা। আফগানিস্তানের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য যে ভাবে পাশে ছিল বিসিসিআই, ঠিক সে ভাবেই নেপালের ক্রিকেটের উন্নতিতে সাহায্য করা হবে বলে জয় আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিএএন। কাঠমান্ডুর সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ থাকায় এবং যাতায়াতের সময় তুলনায় কম লাগে বলে নেপালের ক্রিকেট কর্তাদের পছন্দ দিল্লি।
বাহাদুর আরও একটি সাহায্যের অনুরোধ করেছেন বলে বিসিসিআই সূত্রে খবর। নেপালের চোট পাওয়া ক্রিকেটারদের রিহ্যাবের জন্য বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ব্যবহার করতে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন সিএএস সভাপতি। এ ব্যাপারে অবশ্য এখনই কোনও আশ্বাস দেননি বিসিসিআই সচিব। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পক্ষে অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব কিনা, তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই। যদিও চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।