রাজস্থান রয়্যালস দল। ছবি: বিসিসিআই।
আইপিএলের লিগ পর্বে অর্ধেকের বেশি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে ১০টি দলের। অঙ্কের হিসাবে ১০টি দলের পক্ষেই প্লে-অফ খেলা সম্ভব। কিন্তু এখনই হাল ছেড়ে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস শিবির। দলের বোলিং কোচ শেন বন্ড স্বীকার করে নিয়েছেন, এ বছর তাঁদের আর সুযোগ নেই। অবাস্তব স্বপ্ন দেখতে রাজি নন নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন জোরে বোলার।
দলের প্রধান সমস্যা ধরে ফেলেছেন বন্ড। ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে তিনি চিহ্নিত করেছেন, পুরো ৪০ ওভার ভাল খেলতে না পারাকে। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন বন্ড বলেছেন, ‘‘আইপিএলে প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে প্লে-অফে পৌঁছোনো। মনে হয় না আমরা আর প্লে-অফে পৌঁছোতে পারব। বিষয়টা সততার সঙ্গে মেনে নেওয়াই ভাল। আমরা যথেষ্ট ভাল খেলতে পারিনি। তার মানে এই নয় যে মাঠে আমাদের কোনও দাপট ছিল না। আমরা এখন বাকি পাঁচটা ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। সেরা ক্রিকেট খেলে প্রতিযোগিতা শেষ করতে চাই আমরা। মানসিকতায় কোনও পরিবর্তন হয়নি।’’
মাঠের দাপট দেখিয়েও রাজস্থানকে কেন ছিটকে যেতে হল প্লে-অফের লড়াই থেকে? বন্ড বলেছেন, ‘‘আমরা ৩৫ ওভার বেশ ভাল খেলছি। কয়েকটা ম্যাচে একটা সময় পর্যন্ত আমরা বেশ ভাল জায়গাতেও ছিলাম। খেলায় আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল। আমাদেরই ম্যাচগুলো জেতা উচিত ছিল। তবু আমরা পারিনি। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে কৃতিত্ব দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোয় আমাদের থেকে ভাল খেলে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে ওরা।’’
ন’টি ম্যাচ খেলে রাজস্থান জয় পেয়েছে দু’টিতে। হেরেছে সাতটি। আইপিএলের পয়েন্ট টেবলের নবম স্থানে রয়েছে। এ নিয়ে বন্ড বলেছেন, ‘‘এটাই সবচেয়ে খারাপ লাগছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোয় ঠিকমতো খেলতে পারলে আমরা টেবলের উপরের দিকে থাকতাম। কিন্তু আমাদের এখন আর কিছু করার নেই। আমরা প্রতিযোগিতা থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছি। তার মানে এমন নয় যে, বাকি ম্যাচগুলোয় আমরা ভাল খেলতে চাই না। শক্তিশালী দল হিসাবে প্রতিযোগিতা শেষ করতে চাই আমরা। সেরাটা দিতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে ভাল পারফর্ম করার সুযোগ আছে সকলের। আগামী মরসুমের জন্যও ভাল ভাবে শেষ করা দরকার। এই দলের সঙ্গেই থাকতে চাই।’’
বন্ডের মতে ঘরের মাঠে ব্যর্থতাই পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে। রাজস্থানের বোলিং কোচ বলেছেন, ‘‘গত বার আমরা ঘরের মাঠে (জয়পুর) প্রায় সব ম্যাচ জিতেছিলাম। নতুন দল তৈরি হলে সব কিছু গুছিয়ে নিতে খানিকটা সময় লাগে। এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। আমাদের দলে অনেকে নতুন এসেছে এ বার। প্রায় সব ম্যাচেই আমাদের প্রথম একাদশে পরিবর্তন হয়েছে। নতুনদের অনেকে ঘরের মাঠের পিচ, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছে। কেউ কেউ পারেনি।’’