বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এক দিনের ক্রিকেটে সাত হাজার রান এবং তিনশো উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন শাকিব। — ফাইল চিত্র
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শনিবার প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জোড়া নজির গড়লেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অধিনায়ক আইরিশ বোলারদের ভালই সামলালেন এ দিনের ম্যাচে। এক দিনের ফরম্যাটে সাত হাজার রান হয়ে গেল তাঁর।
সাত হাজার রান করতে শাকিবের দরকার ছিল আর ২০ রান। ২০তম ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বল মিড অফে ঠেলে এক রান নিয়ে সাত হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এক দিনের ক্রিকেটে সাত হাজার রান হল তাঁর। সবচেয়ে বেশি রান রয়েছে তামিম ইকবালের। ৩৬.৬৯ গড়ে ৮১৪৬ রান করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এক দিনের ক্রিকেটে সাত হাজার রান এবং তিনশো উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই কৃতিত্ব রয়েছে শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্য এবং শাহিদ আফ্রিদির।
কিছু দিন আগেই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে চুনকাম করেছে বাংলাদেশ। তার পরে শাকিব বলেছিলেন, “ঘরের মাঠে খেলব বলে সিরিজ় শুরুর আগেই আমাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল। জানতাম যে ইংল্যান্ড দলটায় খুব বেশ ব্যাটার নেই। তিন-চার উইকেট হারানোর পর ওদের দলে আর কোনও ব্যাটার না থাকা আমাদের বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। সিরিজ় চুনকাম হবে এমন স্বপ্ন দেখিনি। তবে অকারণে নিজেদের চাপেও ফেলিনি। প্রতি ম্যাচে জিততেই হবে, এমনটা আমাদের লক্ষ্য ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম ভাল ক্রিকেট খেলতে। তিনটে ম্যাচেই ব্যাট হাতে আমাদের ক্রিকেটাররা ভাল পারফর্ম করেছে। তা ছাড়া, সব ম্যাচে অসাধারণ ফিল্ডিং করেছে সতীর্থরা। বিশেষত টি-টোয়েন্টিতে, যেখানে দু’-চার রান অনেক পার্থক্য গড়ে দেয়।”
২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টিতে ৪-১ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তার পরে নিউ জ়িল্যান্ডকেও হারিয়েছিল। তবে সেই দুই সিরিজ়ের সঙ্গে তুলনা করতে রাজি হননি শাকিব। বলেছিলেন, “দুটো সিরিজ়ের সঙ্গে তুলনা টানতে চাই না। প্রতিটা ম্যাচ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যে ভাবে আমরা এই সিরিজ়ে খেলেছি সেটা আগে দেখিনি। গোটা দল তৃপ্ত। এশিয়া কাপের পর থেকেই এ ভাবে ক্রিকেট খেলছি। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে কিছুটা সময় লেগেছে। কিন্তু সেটা শুরু হয়েছে।”