শাকিবদের বার্ষিক চুক্তিতে নতুন নিয়ম আসতে চলেছে। —ফাইল চিত্র
শাকিব আল হাসানদের চুক্তিতে নতুন নিয়ম। প্রতি ছ’মাস অন্তর দেখা হবে কে কেমন খেলছে। সেই অনুযায়ী উন্নতি বা অবনতিও হতে পারে চুক্তিতে। ক্রিকেটাররা যাতে বার্ষিক চুক্তিকে গুরুত্ব দেয়, সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক কিছু বদলাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটা নতুন যুগ শুরু হয়েছে মুশফিকুর রহিম এবং তামিম ইকবাল অবসর নেওয়ার পর। অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহকে টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হচ্ছে না। টেস্ট থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন। তাঁকে শুধু এক দিনের ক্রিকেটে রাখা হতে পারে। সদ্য ভারতকে এক দিনের সিরিজ়ে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ় জেতে তারা। যদিও টেস্ট ক্রিকেটে দাপটের সঙ্গে জেতে ভারত। এমন অবস্থায় কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো দায়িত্ব ছেড়েছেন। বোর্ড চাইছে সাদা এবং লাল বলের ক্রিকেটে আলাদা কোচ হোক। ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা যে ভাবে খেলছে। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত তা করবে কি না সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বার্ষিক চুক্তিতে যে বদল আনতে চলেছে বাংলাদেশ সেই বিষয়ে ক্রিকেট কর্তা জালাল ইউনিস বলেন, “চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের ছ’মাস অন্তর বিচার করা হবে। আমরা চাই ওরা এই বার্ষিক চুক্তিকে গুরুত্ব দিক। চুক্তিতে থাকা কোনও ক্রিকেটার যদি খারাপ খেলে তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা চাই বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতে ঢোকার জন্য ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা থাকুক।” বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন বলেন, “নতুন নিয়মের ফলে ক্রিকেটাররা এটা ভেবে নেবে না যে, দলে তাদের জায়গা পাকা। তবে ছ’মাস অন্তর চুক্তি পাল্টে যাবে এমন নয়। সকলে যাতে ভাল খেলে সেই জন্যই এই নতুন নিয়ম। সকলে জানবে খারাপ খেললে তাদের দিকে আঙুল উঠবে।”
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এখন ব্যস্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার জন্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ফিরবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলে। বাংলাদেশে খেলতে যাবে ইংল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও খেলবে বাংলাদেশ।