শাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র।
ভারতের মাটিতে দু’টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু প্রথম টেস্ট। তার আগে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়েছেন বাংলাদেশের শাকিব আল হাসান। সেখানে বল হাতে দাপট দেখালেন তিনি। ভারত সফরের আগে তাঁর ফর্ম চিন্তায় রাখবে রোহিত শর্মাদের।
কাউন্টিতে সারের হয়ে খেলছেন শাকিব। সেখানে সামারসেটের বিরুদ্ধে চার উইকেট নেন তিনি। একাই চাপে ফেলে দেন প্রতিপক্ষকে। ৩১৭ রানের বেশি করতে পারেনি সামারসেট। সারের হয়ে খেলে ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতে আসার কথা শাকিবের। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দলের কাছেই এই সিরিজ়টি গুরুত্বপূর্ণ। বাকি ১০টি টেস্টের মধ্যে দেশের মাটিতে পাঁচটি ম্যাচ খেলবে ভারত। এর মধ্যে দু’টি বাংলাদেশ এবং তিনটি নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এই পাঁচটি ম্যাচ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার পথ পরিষ্কার করতে চাইবেন রোহিতেরা। অন্য দিকে, পাকিস্তানকে হারিয়ে বেশ চনমনে বাংলাদেশ। তারা এ বার ভারতকে হারিয়ে চমক দিতে চাইবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সুবিধাজনক জায়গায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। শাকিব ফর্মে থাকলে সুবিধা হবে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পেসার নাহিদ রানাও তৈরি। ২১ বছরের তরুণ বোলার বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা ভারত সফরের জন্য তৈরি। অনুশীলন শুরু হয়ে গিয়েছে। যত বেশি তৈরি থাকব, তত ম্যাচের সময় সুবিধা হবে। ভারত ভাল দল। কিন্তু যে দল ভাল খেলবে তারাই জিতবে। ওখানে গিয়ে বাকি পরিকল্পনা করব।”
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল রানার। ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করতে পারেন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ভাল বল করেছিলেন। এ বার তাঁর সামনে ভারত। রানা বলেন, “আমার কাছে যে জিনিসটার প্রত্যাশা করা হয়েছিল, আমি সেটা করতে পেরেছি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার আগে বলেছিলাম, সুযোগ পেলে দেশের হয়ে কিছু করতে চাই। সেটা পেরেছি।”
২০২০ সাল থেকে রানার ক্রিকেট জীবন শুরু। কলেজ শেষ করার পর তাঁর দাদা ভর্তি করে দিয়েছিলেন একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। পরের বছরই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় রানার। এক মরসুমে নেন ৩২ উইকেট। পরের মরসুমে নেন ৩০ উইকেট। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন সাফল্য দেখা যায়নি। সেই কারণে দেশের হয়ে সুযোগ দেওয়া হয় তাঁকে। দলকে হতাশ করেননি রানা। তিনটি টেস্টে ১১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।