নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: এক্স (টুইটার)।
প্রতি বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেও কখনও নকআউট পর্বে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। দলগত সাফল্যের ভাঁড়ার শূন্য। কেন বার বার ব্যর্থ হন শাকিব আল হাসানেরা। কারণ হিসাবে কার্যত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেই দুষলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি সিরিজ়ে ১-২ ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে স্বভাবতই বাংলাদেশ দলকে নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। ভাল ফল না হওয়ার প্রধান কারণ হিসাবে বাংলাদেশের খারাপ পিচকে দুষেছেন নাজমুল। এক সাক্ষাৎকারে নাজমুল বলেছেন, ‘‘প্রথমত আমাদের ভাল পিচে খেলতে হবে। অনেকের মনে হতে পারে আমরা অজুহাত দিচ্ছি। কিন্তু এটা বাস্তব। ভাল পিচে খেলার সুযোগ আমরা খুব কম পেয়েছি।’’ মূলত দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ হিসাবে দেশে খারাপ পিচে খেলাকেই দায়ী করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। যে দায় বর্তায় বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের উপর।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বিশ্বকাপের আগে। অনেকের প্রশ্ন, সাফল্য আসবে কী ভাবে? নাজমুল তেমন আশার আলো দেখাতে পারেননি। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ছ’মাসের মধ্যে সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। দু’এক বছর ধারাবাহিক ভাবে আমরা ভাল পিচে খেলার সুযোগ পেলে স্ট্রাইক রেটে উন্নতি হতে পারে। তাও আমরা কয়েকটা সিরিজ় জিতেছি। বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে জয় পেয়েছি আমরা।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভাল ফল করার ক্ষমতা আছে বলেই মনে করেন নাজমুল। মেনে নিয়েছেন কাজটা সহজ নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘সম্প্রতি আমরা কয়েক ম্যাচ বেশ ভাল খেলেছি। বিশ্বকাপে যদি সে ভাবে খেলতে পারি, যদি সময় মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, যদি পরিকল্পনাগুলো ঠিক ভাবে বাস্তবায়িত করতে পারি, তা হলে ভাল কিছু করা সম্ভব।’’
শাকিবের বয়স এখন ৩৭, মহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৩৮। এত প্রবীণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল কিছু করা সম্ভব? নাজমুল বলেছেন, ‘‘ওরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ক্রিকেটজীবনের শেষ দিকে রয়েছে। কবে অবসর নেবে, সেটা ওদের সিদ্ধান্ত। তবে যত দিন খেলবে, তত দিন ওদের দলে চাইব। ওদের অভিজ্ঞতা প্রচুর। বিশ্বকাপে আমাদের কাজে আসবে।’’
নাজমুল মেনে নিয়েছেন আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেনি তাঁর দল। বিশ্বকাপের আগে কিছুটা সময় থাকায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশের অধিনায়ক। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ১ জুন থেকে। গ্রুপ ‘ডি’-তে বাংলাদেশকে খেলতে হবে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপালের সঙ্গে।