মুস্তাফিজুর রহমান। — ফাইল চিত্র।
সিরিজ় হাতছাড়া হওয়ার পর তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আমেরিকার বিরুদ্ধে জয় পেল বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমানের দাপটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কিছুটা হলেও মানরক্ষা করল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। অন্য দিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেল পাকিস্তান।
আইপিএলের ফর্ম ২০ ওভারের বিশ্বকাপের আগেও ধরে রেখেছেন মুস্তাফিজুর। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেরা বোলিং করলেন বাঁহাতি জোরে বোলার। মাত্র ১০ রানের বিনিময় নিলেন ৬ উইকেট। তাঁর বোলিংয়ের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন আমেরিকার ব্যাটারেরা। ভাল বল করেছেন রিশাদ হোসেনও। তিনি ৪ ওভারে ৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া শাকিব আল হাসান ২৩ রানে ১ উইকেট এবং তানজ়িম হাসান শাকিব ৩২ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন।
আমেরিকার ব্যাটারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রান আন্দ্রিস গাউসের ১৫ বলে ২৭। তিনি ৫টি চার এবং ১টি ছয় মারেন। শায়ান জাহাঙ্গির ২০ বলে ১৮ এবং কোরি অ্যান্ডারসন ১৮ বলে ১৮ রান করেন। আমেরিকার ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে ১০৪ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ ১১.৪ ওভারে করে ১০৮ রান। তানজ়িদ হাসান ৪২ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি চার এবং ৩টি ছয়। অপর ওপেনার সৌম্য সরকার অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ৪৩ রানে। তিনি মারেন ৪টি চার এবং ২টি ছক্কা।
অন্য দিকে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬ রানে হারাল আসন্ন বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। প্রথমে ব্যাট করে ক্যারিবিয়ানেরা করেন ৭ উইকেটে ২০৭। ৩৮ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রোস্টন চেজ। ৭টি চার এবং ২টি ছয় মারেন তিনি। ভাল রান পেলেন ব্র্যান্ডন কিং (২২ বলে ৩৬), কাইল মেয়ার্স (১৬ বলে ৩২), আন্দ্রে ফ্লেচার (১৮ বলে ২৯) এবং রোমারিয়ো শেফার্ড (১৩ বলে ২৬)। দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার নাবায়োমজ়ি পিটার ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে করে ৭ উইকেটে ১৯১ রান। কুইন্টন ডিকক ১৭ বলে ৪১ রান করেন। ৪টি করে চার এবং ছক্কা মারেন তিনি। রেজ়া হেনড্রিকস করেন ১৮ বলে ৩৪। রাসি ভ্যান ডার ডুসেন করেন ২২ বলে ৩০। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সফলতম বোলার গুডাকেশ মোতি। তিনি ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারল পাকিস্তান। জস বাটলারদের ৭ উইকেটে ১৮৩ রানের জবাবে বাবর আজ়মদের ইনিংস ১৯.২ ওভারে শেষ হয় ১৬০ রানে। ৮টি চার ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৫১ বলে ৮৪ রান করেন বাটলার। ২৩ বলে ৩৭ রান এসেছে উইল জ্যাকসের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩৬ বলে ৩ উইকেট নিয়েছেন। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন ফখর জ়ামান। তিনি ২১ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। ২৬ বলে ৩২ বাবরের। ইফতিকার আহমেদ ১৭ বলে ২৩ এবং ইমাদ ওয়াসিম ১৩ বলে ২২ রান করেছেন। ইংল্যান্ডের রিসি টোপলে ৪১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২৬ রানে ২ উইকেট মইন আলির। এ ছাড়া ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন জোফ্রা আর্চার।