বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিনটি উইকেট নেন এই পেসার। দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শাকিব আল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম। মাহমুদুল্লাহ নিয়েছেন একটি উইকেট। ৫ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
দুরন্ত লড়াই মেহেদি এবং আফিফের। ছবি: টুইটার থেকে
দুরন্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দল ম্যাচ জিতল চার উইকেটে। রশিদ খানরা যখন ম্যাচ জিতেই নিয়েছি ভাবতে শুরু করেছিলেন, সেখান থেকে ম্যাচ নিয়ে চলে গেলেন মেহেদি হাসান এবং আফিফ হোসেইন। সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে এক দিনের ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রানের জুটি গড়ার রেকর্ড গড়লেন তাঁরা।
প্রথমে ব্যাট করে ২১৫ রান তোলে আফগানিস্তান। নাজিবুল্লাহ জাদরানের গুরুত্বপূর্ণ ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে ২০০ রানের গণ্ডি পার করে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে শুরু থেকেই চাপে ছিলেন ইব্রাহিম জাদরানরা। রহমত শাহ ৩৪ রান করেন। আফগান অধিনায়ক হাসমাতুল্লাহ শাহিদি ২৮ রান করেন। আইপিএল নিলাম ১ কোটি টাকা দিয়ে মহম্মদ নবিকে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চট্টগ্রামে ২৪ বলে ২০ রান করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিনটি উইকেট নেন এই পেসার। দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শাকিব আল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম। মাহমুদুল্লাহ নিয়েছেন একটি উইকেট। ৫ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
আফগানিস্তান ইনিংসের শেষে মনে করা হয়েছিল ঘরের মাঠে সহজেই জিতবেন শাকিবরা। কিন্তু আফগানিস্তানের বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকির দাপটে হুমড়ি খেয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৮) এবং লিটন দাস (১) দশ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি। ১০ রানের মাথায় শাকিবকে ফিরিয়ে দেন মুজিব উর রহমান। মুশফিকুর রহিম (৩) এবং ইয়াসির আলিকে (০) ফেরান ফারুকি। আইপিএল নিলাম ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মাহমুদুল্লাহও (৮) রান পাননি। তাঁর উইকেট নেন রশিদ খান। ৪৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট পরে যায় বাংলাদেশের।
সেখান থেকে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান আফিফ হোসেইন এবং মেহেদি হাসান। ১৭৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। আফিফ অপরাজিত থাকেন ৯৩ রানে, মেহেদি অপরাজিত ৮১ রানে। আফগানিস্তানের হাত থেকে ম্যাচ নিয়ে চলে যান তাঁরা। ৭ বল বাকি থাকতেই ২১৯ রান তুলে সিরিজের প্রথম এক দিনের ম্যাচ জিতে নিল বাংলাদেশ। বল হাতে মেহেদি ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়েছিলেন। তাঁকেই ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ তামিম ইকবাল বলেন, ‘‘সত্যি বলতে ৪৫ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভাবিনি এই ম্যাচ জিততে পারব। মেহেদি এবং আফিফ যে ভাবে খেলেছে তাতে আমি দারুণ খুশি। আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত। সেটা সামলে দারুণ খেলেছে ওরা। আশা করব এটাই ওদের শুরু, আরও ভাল ইনিংস খেলবে ওরা।’’