ডেভিড ওয়ার্নার। —ফাইল চিত্র
অবসরের পরে মুখ খুললেন ডেভিড ওয়ার্নার। নিজের দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুললেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার। তাঁর অভিযোগ, তাঁর অধিনায়কত্বের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল তা অনৈতিক। কেন তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল তা এখনও বুঝতে পারেননি তিনি।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে বল বিকৃতি করায় এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল ওয়ার্নারকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়ে দেয়, আজীবন অধিনায়কত্ব থেকে নির্বাসিত থাকবেন তিনি। অর্থাৎ, কোনও দিন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হতে পারবেন না। যদিও অস্ট্রেলিয়ার কোচ হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কোনও বাধা নেই। সেই কারণেই প্রশ্ন তুলেছেন ওয়ার্নার।
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘অধিনায়কত্ব আর কোচিংয়ের মধ্যে কী পার্থক্য? কোচ হিসাবে তো দায়িত্ব আরও বেশি থাকে। আমি জানি না কী বলব? পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে। এখনও এর কোনও উত্তর খুঁজে পাইনি। আমি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হওয়ার যোগ্য। কিন্তু অধিনায়কত্ব করার যোগ্যতা ছিল না। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চুক্তিতেই এ কথা লেখা ছিল। এই নিয়ম খুব অদ্ভুত। কোনও যুক্তি খুঁজে পাইনি।’’
ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলার আগেই ওয়ার্নার জানিয়েছিলেন, দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলে অবসর নেবেন তিনি। সেটাই করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁ হাতি ওপেনার। সিডনিতে ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলে অবসর নিয়েছেন ওয়ার্নার। সেই টেস্টের আগেই এক দিনের সিরিজ় থেকে অবসরের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।