দাসুন শনাকা। —ফাইল চিত্র।
তীব্র লড়াই করেও এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিল আফগানিস্তান। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ২ রানে হারলেন আফগানেরা। সুপার ফোরে যাওয়ার জন্য ৩৭.১ ওভারে ২৯২ রান করতে হত আফগানিস্তানকে। তাহলেই শ্রীলঙ্কাকে নেট রান রেটে টপকে সুপার ফোরে চলে যেতেন রশিদ খানেরা। কিন্তু লড়াই করেও পারলেন না তাঁরা। ৩৭.১ ওভারের পর তাঁদের রান দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৮৯ রান। ৩৭.৪ ওভারে ২৮৯ রানেই শেষ হয়ে গেল আফগানদের ইনিংস।
সুপার ফোরে যাওয়ার অঙ্ক ইনিংসের শুরুতেই জেনে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটারেরা। সেই মতো আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করেন তাঁরা। শ্রীলঙ্কার কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি। একটা সময় মনে হচ্ছিল গত বারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সুপার ফোরে চলে যাবে আফগানেরাই। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ব্যর্থতায় তাঁদের স্বপ্নভঙ্গ হল। ৩৭.৪ ওভারে ২৯৫ রান তুলতে পারলেও সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেই নিয়ম জানতেন না রশিদ খানেরা। ফলে ৩৭.১ ওভারে ২৯২ রান তুলতে না পারার পর আর চেষ্টাই করেননি তাঁরা।
ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভাল করতে পারেনি আফগানিস্তান। ৫০ রানেই ৩ উইকেট চলে যায় তাদের। এর পর ইনিংসের হাল ধরেন মিডল অর্ডার ব্যাটারেরা। গুলবাদিন নায়েব (১৬ বলে ২২), রহমত শাহ (৪০ বলে ৪৫), হসমতুল্লা শাহিদিরা (৬৬ বলে ৫৯) দলের ইনিংসকে স্থিতি দেন। এর পর ম্যাচের রং বদলাতে শুরু করে প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ নবির ব্যাটে। ৩২ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন ছ’টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা। করিম জনত করেন ১৩ বলে ২২ রান। নাজিবুল্লাহ জ়াদরান করেন ১৫ বলে ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রশিদ। শেষ দুই ব্যাটারের ব্যর্থতায় কাছাকাছি পৌঁছেও জিততে পারলেন না তাঁরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা। ৮ উইকেটে ২৯১ রান তোলে তারা। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা। দুই ওপেনার পাথুম নিশঙ্ক এবং দিমুথ করুণারত্নে ভাল শুরু করেন। তাঁরা করেন যথাক্রমে ৪১ এবং ৩২ রান। তবে শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করান তিন নম্বরে নামা কুশল মেন্ডিস। ৮৪ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। ছ’টি চায় এবং তিনটি ছক্কা দিয়ে সাজান নিজের ইনিংসটি। আফগানদের সামনে লড়াই করার মতো রান তুলতে সাহায্য করেন চরিথ আশালঙ্কা (৩৬), মাহিশ থিকশানা (২৮) এবং দুনিথ ওয়েল্লাগে (অপরাজিত ৩৩)।
আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে সফলতম গুলবাদিন নবি। তিনি ৪ উইকেট নিলেও খরচ করলেন ৬০ রান। রশিদ ২ উইকেট নিলেন ৬৩ রান দিয়ে। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা আক্রমণের জন্য মূলত বেছে নিয়েছিলেন আফগান স্পিনারদের। ৬০ রানে ১ উইকেট জোরে বোলার মুজির উর রহমানের। ভাল বল করলেন নবি। ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিলেও উইকেট পাননি আফগানিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক।