কোহলী আইপিএলের দলের সতীর্থ হাসরঙ্গের দাপটে এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কার। ফাইল ছবি
গত বছর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতকে বেগ দিয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ। ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সিরিজ সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। প্রতিভা দেখে আইপিএল নিলামে দেরি করেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১০.৭৫ কোটি টাকায় কিনে নেয় তাঁকে। বিরাট কোহলীর দলের সেই বোলারই এশিয়া কাপ জিতিয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কাকে। তাঁর একটি ওভার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিল।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসের তখন ১৬ ওভার শেষ হয়েছে। স্কোর ১১০-৪। জিততে গেলে ২৪ বলে দরকার ৬১। ক্রিজে তত ক্ষণে জমে গিয়েছেন মহম্মদ রিজওয়ান। চাপে পড়লেও ম্যাচ পাকিস্তানের হাত থেকে তখনও বেরিয়ে যায়নি। এমন অবস্থায় নিজের শেষ ওভার বল করতে এসেই বাজিমাত করলেন হাসরঙ্গ।
প্রথম বলেই চালাতে গিয়ে দানুষ্কা গুণতিলকার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের জেতার স্বপ্ন জোর ধাক্কা খেল। তখনও কেউ জানতেন না, বাকি ওভারে কী অপেক্ষা করে রয়েছে। তৃতীয় বলেই ফিরে গেলেন আসিফ আলি। হাসরঙ্গের গুগলি আছড়ে পড়ল মিডল স্টাম্পে। পঞ্চম বলে আবার আঘাত হানলেন তিনি। এ বার হাসরঙ্গের বল স্লগ করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ তুলে দিলেন খুশদিল শাহ। এক ওভারের হাসরঙ্গের ওই তিন উইকেট পাকিস্তানের যাবতীয় আশা শেষ করে দিল। দু’দিন আগে সুপার ফোরের ম্যাচেও তিন উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
আইপিএলে কিন্তু আগেই হাসরঙ্গের পারফরম্যান্স দেখেছে ভারত। প্লে-অফ থেকে বিদায় নেয় বেঙ্গালুরু। তত দিনে হাসরঙ্গের নামের পাশে বসে গিয়েছে ২৬টি উইকেট। আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে যেতে পারতেন। অল্পের জন্য যুজবেন্দ্র চহাল টপকে যান তাঁকে। তবে তাঁকে কিনে যে কোনও ভুল হয়নি, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিল বেঙ্গালুরু। এ বার শ্রীলঙ্কাও টের পেল হাসরঙ্গের প্রতিভা।
কলকাতা নাইট রাইডার্সও টের পেয়েছে হাসরঙ্গের বোলিং প্রতিভার কথা। গত ৩০ মার্চ কলকাতার বিরুদ্ধে চার উইকেট নিয়ে একার হাতে বিপক্ষকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন তিনি।