ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে নাসিম। ছবি: টুইটার।
খেলা তখনও শেষ হয়নি। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ছেন পাকিস্তানের তরুণ জোরে বোলার। মাঝেমাঝেই হাতের সোয়েট ব্যান্ডে মুছে নিচ্ছেন চোখ। নাসিম শাহ কিছুটা কাছে আসতে দেখা গেল, তিনি কাঁদছেন!
দেশের হয়ে ২০ ওভারের অভিষেক ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে ভালই বল করেছেন। লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদবের মতো ব্যাটারকে আউট করেছেন। তা হলে কেন চোখে জল ১৯ বছরের ক্রিকেটারের? চার ওভারে ২৭ রানও তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুব বেমানান নয়।
মাঠ থেকেই নাসিমকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন পাকিস্তানের কোচিং স্টাফরা। তাতেও থামছে না তাঁর কান্না। সাজঘরের দরজা পর্যন্ত তিনি গেলেন চোখ মুছতে মুছতেই। ভারতের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ভাল পারফরম্যান্সের পরেও জোরে বোলারসুলভ শরীরি ভাষা দেখা যায়নি পাক তরুণের মধ্যে। তাঁর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ার ভিডিয়ো ছড়িয়েছে নেটমাধ্যমেও।
পায়ে টান ধরায় কোনও রকমে নিজের চতুর্থ ওভার বল করার পরেই মাঠ ছাড়তে হয় নাসিমকে। ভারতীয় ইনিংসের ১৮তম ওভারে বল করার জন্য ঠিক মতো দৌড়তেই পারছিলেন না নাসিম। বড় চোটের ঝুঁকি নিয়েও মনের জোরে ওভার শেষ করেন। শেষ দু’-তিনটি বলের পর তাঁর যন্ত্রণাকাতর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কতটা কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। যে যন্ত্রণা নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোই কঠিন, সেই যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করেই শেষ করেছেন নিজের দায়িত্ব। তার পরেই তিনি সাজঘরে ফিরে যান।
দুবাইয়ের গরম এবং আর্দ্রতায় পাকিস্তানের একাধিক ক্রিকেটারের পায়ে টান ধরে রবিবারের ম্যাচে। নাসিমের পায়েও টান ধরে। নিজেকে মাঠে নিংড়ে দেওয়ার পরও দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি। তাতেই ভেঙে পড়েন নাসিম। বরং, তাঁর শেষ ওভারে একটি চার এবং একটি ছয় মেরে রবীন্দ্র জাডেজা ভারতীয় দলের চাপ কিছুটা হালকা করে দেন। তাতেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন নাসিম।