ভারতের বিরুদ্ধে মারমুখী মেজাজে রিজওয়ান। —ফাইল চিত্র
উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে চোট পেয়েছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। প্রথমে দেখে মনে হয়েছিল, আর হয়তো খেলতে পারবেন না তিনি। সেই রিজওয়ানই খেললেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। তাঁর ৫১ বলে ৭১ রানের ইনিংসের উপর ভর করেই ভারতকে হারিয়েছে পাকিস্তান। চোট নিয়েও কী ভাবে এই ইনিংস খেললেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক। রিজওয়ান জানালেন, তাঁর কাছে এটাই ছিল ফাইনাল।
ম্যাচ শেষে রিজওয়ানকে তাঁর চোট নিয়ে প্রশ্ন করেন ধারাভাষ্যকার। জবাবে হাসি মুখে রিজওয়ান বলেন, ‘‘গোটা বিশ্ব এই খেলা দেখছিল। ভারতের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ ফাইনালের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না। আমার কাছেও সেটাই ছিল। সবাই নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’’
রান তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক বাবর আজম আউট হয়ে গেলেও রিজওয়ান টিকে ছিলেন। দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর কী পরিকল্পনা ছিল সে কথাও জানিয়েছেন রিজওয়ান। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছিলাম, বাবর ও আমার মধ্যে এক জনকে টিকে থাকতেই হবে। বাবর আউট হওয়ায় আমি শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিলাম। আমরা জানতাম পরে অনেক ব্যাটার রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে দ্রত রান তোলার ক্ষমতা রাখে। শেষ চার ওভারে ৪৫ রান দরকার থাকলেও চিন্তা করিনি। ভয় পাইনি আমরা।’’
ভারত ব্যাট করার সময় মহম্মদ হাসনাইনের করা একটি বাউন্সার ধরতে গিয়ে চোট পান রিজওয়ান। লাফিয়ে উঠে মাটিতে পড়ার সময় তাঁর ডান পা মচকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রণায় মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকেন রিজওয়ান। ছুটে আসেন দলের ফিজিয়ো। বেশ কিছু ক্ষণ রিজওয়ানের চোট পরীক্ষা করে দেখেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রিজওয়ান ফের খেলা শুরু করেন। কিন্তু তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, দৌড়তে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। ব্যাট করার সময়ও দৌড়তে সমস্যা হচ্ছিল রিজওয়ানের। কিন্তু লড়াই ছাড়েননি তিনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। তাঁর রানে ভর করেই ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারায় পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পরে সুপার ফোর-এ আরও চারটি খেলা বাকি রয়েছে। সোমবার কোনও ম্যাচ নেই। মঙ্গলবার ভারত নামবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। ৭ সেপ্টেম্বর শারজায় শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। পর দিন আবার নামবে শ্রীলঙ্কা। এ বার দুবাইয়ে তারা খেলবে ভারতের বিপক্ষে। ৯ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের শেষ খেলায় মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান।