মইন আলি। ছবি: টুইটার।
প্রায় দু’বছর পর অবসর ভেঙে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন মইন আলি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশেজ সিরিজ়ের প্রথম টেস্টে খেলছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেই শাস্তি পেতে হল তাঁকে। জরিমানা হল ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ।
আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ২.২০ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে মইনের বিরুদ্ধে। যা খানিকটা বল বিকৃত করার চেষ্টার সামিল। ঘটনাটি শনিবার অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৮৯তম ওভারের। বাউন্ডারি লাইনের পাশে মইনকে দেখা যায় শুকনো করার জন্য বলে তিনি কিছু একটা মাখাচ্ছেন। বলে তিনি কী মাখাচ্ছিলেন তা সঠিক ভাবে বোঝা যায়নি টেলিভিশনের ক্যামেরা। কেন মাখাচ্ছিলেন তাও জানা যায়নি। যদিও বিষয়টি নজর এড়ায়নি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের। তিনি ম্যাচের পর ডেকে পাঠান মইনকে। ম্যাচ রেফারির সামনে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের পাক বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার।
আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘মইনকে এক ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি লেভেল ওয়ান অন্যায় করেছেন। গত ২৪ মাসে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারের এটাই এই ধরনের প্রথম অন্যায়। ম্যাচ রেফারির কাছে মইন নিজের অন্যায় স্বীকার করে নিয়েছেন এবং শাস্তি মেনে নিয়েছেন। তাই শুনানির প্রয়োজন হয়নি।’’ একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, মইনকে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
আইসিসি তরফে বলা হয়েছে, ‘‘মইন জানিয়েছেন হাত শুকনো রাখার জন্য তিনি একটি সাদা রঙের ক্রিম ব্যবহার করেছেন। তাঁর দাবি, ক্রিমটি বলের উপর একটি কৃত্রিম পদার্থ হিসাবে ব্যবহার করেননি। যাতে বলের অবস্থা পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু তাঁর এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ম্যাচ রেফারি। মইন নিশ্চিত করতে পারেননি, যে সেই ক্রিম শুধু নিজের আঙুলেই ব্যবহার করেছেন। আইসিসির খেলার শর্তগুলির ৪১.৩ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। ম্যাচের বল কৃত্রিম ভাবে কোনও রকম পরিবর্তনের চেষ্টা করা অন্যায়।’’
আগামী দিনেও মইনের উপর নজর রাখা হবে। নির্দিষ্ট সময় কালের মধ্যে তিনি আবার এমন কিছু করলে কঠিনতম শাস্তি হবে। অবসর ভেঙে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা মইনকে অ্যাশেজ সিরিজ়ের প্রথম দু’টি টেস্টের দলে রেখেছে ইংল্যান্ড।