অনুশীলনে সঞ্জু স্যামসন (বাঁ দিকে) এবং রাহুল দ্রাবিড়। ছবি: সমাজমাধ্যম।
রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে সঞ্জু স্যামসনের সম্পর্ককে এক সময় গুরু-শিষ্যের আদর্শ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হত। সেই দ্রাবিড়ের সঙ্গে কি আর আগের মতো সম্পর্ক নেই সঞ্জুর? সাম্প্রতিক একটি ভিডিয়ো ঘিরে তেমনই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। শোনা গিয়েছে, দিল্লির কাছে হারের পর রাজস্থান শিবিরে ফাটল ধরেছে। দলীয় রাজনীতিতে বিরক্ত সঞ্জু পরের বছর দল ছাড়ার কথা ভাবছেন।
দিল্লি ম্যাচের পরের একটি ভিডিয়ো ঘিরে যাবতীয় জল্পনার উৎপত্তি। ম্যাচের পর দ্রাবিড়, সাইরাজ বাহুতুলে এবং কোচিং স্টাফের বাকি সদস্য ও ক্রিকেটারেরা একসঙ্গে ‘টিম হাডল’ করছিলেন। গোল হয়ে দাঁড়িয়ে এ রকম আলোচনা প্রায়ই করে দলগুলি। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সঞ্জু পাশে থাকলেও সেই টিম হাডলে যোগ দেননি। দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়নি তাঁকে।
সঞ্জু হতাশ এবং বিধ্বস্ত ছিলেন বলে অনেকে মনে করছেন। তবে অনেকের ধারণা, দলের মধ্যে ফাটল ধরেছে। সঞ্জু দলীয় রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাননি বলেই যোগ দেননি।
বেশ কিছু জল্পনা রটেছে। শোনা যাচ্ছে, রাজস্থান গুয়াহাটিতে খেলতে যাক তা চাননি সঞ্জু। কিন্তু দল সে কথা শোনেনি। তা ছাড়া, রিয়ান পরাগকে আগামী দু’বছরের মধ্যে পাকাপাকি ভাবে অধিনায়ক বানানোর পরিকল্পনা করছে রাজস্থান। যে ভাবে সেই প্রচেষ্টা চলছে তাতে অবাক সঞ্জু। দলে নাকি দ্রাবিড়কেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সঞ্জু পাত্তাই পাচ্ছেন না। সেটাও ভারতীয় ক্রিকেটারের পছন্দ নয়। এ ছাড়া কিছু চাপ এবং দলীয় রাজনীতি তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে রাজস্থানে নাকি এতটাই খারাপ অবস্থা যে সঞ্জুর সঙ্গে যশস্বী জয়সওয়ালও পরের বছর দল ছাড়তে চান।
সব মিলিয়ে, রাজস্থান শিবিরে কোনও কিছুই ঠিক নেই বলে জানা গিয়েছে। সাত ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন অষ্টম স্থানে। ভারসাম্যযুক্ত দল নিয়েও সমস্যায় তারা।