কল্যাণ চৌবে। —ফাইল চিত্র।
অভিযোগকারীকেই দেওয়া হল শাস্তি। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) সভাপতি কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন সংস্থার প্রধান আইনি পরামর্শদাতা নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য। এই ঘটনার পরে অভিযোগকারী নীলাঞ্জনকেই সরিয়ে দিয়েছে এআইএফএফ।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে নিজের অভিযোগ জানিয়েছেন নীলাঞ্জন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ফুটবল সংস্থায় দরপত্র নিয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে। এ ছাড়াও আরও আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। প্রতিটি দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত সভাপতি কল্যাণ।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কল্যাণ। তাঁর দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য নীলাঞ্জন এই অভিযোগ করেছেন। তার পরেই পদক্ষেপ করে সংস্থা। নীলাঞ্জনকে প্রধান আইনি পরামর্শদাতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আরও এক মাস বেতন দেওয়া হবে নীলাঞ্জনকে।
অভিযোগ করায় তাঁকে যে শাস্তি পেতে হবে সেটা তিনি আগে থেকেই জানতেন বলে জানিয়েছেন নীলাঞ্জন। তিনি বলেন, “আমি সত্যি কথা বলেছি। পদের অপব্যবহার করে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে সবাই। এতে ভারতীয় ফুটবলের ক্ষতি হচ্ছে। আমি মৌচাকে ঢিল মেরেছি। তাই হুল তো আমাকে খেতেই হবে।” পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তাঁর লড়াই চলবে বলে জানিয়েছেন নীলাঞ্জন।