আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেটারেরা। ছবি: এক্স।
তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশছাড়া তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ায় উদ্বাস্তুদের মতো জীবন কাটাচ্ছেন আফগানিস্তানের ১৭ জন মহিলা ক্রিকেটার। পুরুষেরা বিশ্বকাপে নজর কাড়লেও মহিলাদের ক্রিকেট বন্ধ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হতেই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির কাছে আবেদন করেছেন ১৭ মহিলা ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়াতেই উদ্বাস্তু মহিলাদের একটি দল তৈরি করার আবেদন করেছেন তাঁরা।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। মহিলাদের ক্রিকেট দল ভেঙে দেয় তারা। তার পর থেকেই ১৭ জন ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। তাঁরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চান। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রশিদ খানদের খেলা দেখে আরও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। তাই আইসিসির কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। একটি চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের পুরুষদের দল যে কীর্তি করেছে তাতে আমরা গর্বিত। প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ওঠার জন্য দলের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানাই। কিন্তু সেই সঙ্গে আমাদের মনে একটা দুঃখও আছে। পুরুষদের মতো আমরা দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতে পারছি না। যে হেতু আমরা বিদেশে রয়েছি তাই আফগানিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি না। তাই আমরা আইসিসিকে আবেদন জানাচ্ছি, অস্ট্রেলিয়ায় একটি উদ্বাস্তুদের দল তৈরি করা হোক।”
চিঠিতে ক্রিকেটারেরা প্রস্তাব দিয়েছেন যে ইস্ট এশিয়ান ক্রিকেট সংস্থার দফতর থেকে এই দলকে পরিচালনা করা যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের অধীনেই সেই সংস্থা রয়েছে। চিঠিতে লেখা, “আফগান সরকার ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নীতির কারণে আইসিসি আফগানিস্তানের জাতীয় মহিলা দলকে স্বীকৃতি দেবে না। কিন্তু দলের প্রত্যেকে স্বপ্ন দেখে যে দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলবে। উদ্বাস্তুদের দল তৈরি করা হলে আমরা অন্তত খেলার সুযোগ পাব। কোনও সীমান্ত আমাদের আটকাতে রাখতে পারবে না। এই দল তৈরি করা হলে আফগানিস্তানের আরও অনেক মহিলা ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখবে। তা হলে আবার হয়তো কোনও দিন দেশের হয়ে আমরা খেলতে পারব।”
মহিলা ক্রিকেটারেরা জানিয়েছেন, তাঁদের যে প্রতিভা রয়েছে তা দেখানোর সুযোগ তাঁরা পাচ্ছেন না। আফগানিস্তানে প্রতি দিন মহিলাদের অনেক কিছু সহ্য করতে হয়। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে জীবন কাটাতে হয় তাঁদের। ক্রিকেট তাঁদের স্বপ্ন দেখাতে পারে। সেই কারণেই আইসিসির দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। যদিও এখনও পর্যন্ত আইসিসি তাঁদের কোনও জবাব দেয়নি।