অনেক চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি আফগানিস্তানের মহম্মদ নবি। ছবি: এএফপি।
নেট রান রেটের নিয়ম না জানায় এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে আফগানিস্তানকে। নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মেরেছেন রশিদ খানেরা। ম্যাচ শেষে আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট স্বীকার করে নিয়েছেন যে নেট রান রেটের নিয়ম তাঁরা জানতেন না। এই নিয়ম না জানার জন্য সরাসরি ম্যাচের দুই আম্পায়ারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। ট্রটের দাবি, আম্পায়ারেরা তাঁদের জানাননি যে ৩৭.১ ওভারের পরেও ম্যাচ জেতার সুযোগ রয়েছে তাঁদের।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রট বলেন, ‘‘আমাদের নেট রান রেটের হিসাব নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছিল, ৩৭.১ ওভারের মধ্যে ২৯২ রান করতে হবে। কিন্তু এটা বলা হয়নি যে ৩৮.১ ওভার পর্যন্তও আমরা জিততে পারি। ২৯৫ বা ২৯৭ রান করলেও যে ম্যাচ জিতব সেই খবর আমাদের দেওয়া হয়নি। নেট রান রেটের হিসাব জানা থাকলে আমরা জিততেও পারতাম।’’
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে যাওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৭.১ ওভারে ২৯২ রান করতে হত আফগানিস্তানকে। তা হলেই শ্রীলঙ্কাকে নেট রান রেটে টপকে সুপার ফোরে চলে যেতেন রশিদেরা। কিন্তু লড়াই করেও পারেননি তাঁরা। ৩৭.১ ওভারের পর তাঁদের রান দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৮৯ রান। এর পরেও সুপার ফোরে যেতে পারতেন তাঁরা। ৩৭.৪ ওভারে ২৯৫ রান তুলতে পারলেও সুপার ফোরে চলে যেত আফগানিস্তান। কিন্তু সেই চেষ্টাই করেননি দলের ব্যাটারেরা। ৩৭.১ ওভারে ২৯২ রান তুলতে না পারার পরেই হাল ছেড়ে দেন তাঁরা।
নেট রান রেটের নিয়মই জানত না আফগানিস্তান। মাঠের দুই ব্যাটার তো বটেই, আফগানিস্তানের সাজঘরের কেউও বিষয়টা জানতেন না। ফলে মাঠে তাঁরা বার্তাও পাঠাননি। ফলে কেউ বড় শট মেরে চেষ্টাও করেননি ৩৭.৪ ওভারে ২৯৫ রান তোলার। অথচ উইকেটে ছিলেন রশিদের মতো দক্ষ ক্রিকেটার। আফগান শিবিরের এই অপেশাদারি মানসিকতায় বিস্মিত হয়েছেন ধারাভাষ্যকারেরাও। তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরা। আধুনিক ক্রিকেটে এশিয়া কাপের মতো প্রতিযোগিতায় একটি দল কেন ঠিক মতো নিয়ম জেনে খেলতে নামবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন আফগান কোচ।