অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। —ফাইল চিত্র।
কেপ টাউন টেস্টের তৃতীয় দিন ডিআরএস সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরাট কোহলির অসন্তোষ প্রকাশ করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ অ্যাডাম গিলক্রিস্ট থেকে শেন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার ও প্রাক্তন উইকেটকিপার মনে করছেন, কোহলির মন্তব্যে ‘স্যান্ডপেপারগেট’ কাণ্ডও উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা দু’জনেই মনে করছেন, ভারতীয় অধিনায়কের এই মন্তব্য অত্যন্ত কুরুচিকর। যা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
কেপ টাউন টেস্টে তৃতীয় দিন আর অশ্বিনের ফ্লোটার আছড়ে পড়ে ডিন এলগারের প্যাডে। ২১২ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তখন এক উইকেট হারিয়ে ভাল জায়গায় ছিল। সেই মুহূর্তে এলগারের উইকেট পড়ে গেলে সুবিধা হতে পারত ভারতেরও। অশ্বিনের আবেদনে আম্পায়ার ইরাসমাস আউটও দেন। কিন্তু এলগার ডিআরএস নেওয়ার পরে দেখা যায়, স্টাম্পের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে বল। যে দৃশ্যে অবাক বিরাট থেকে ইরাসমাসও। তিনি বলেই ওঠেন, ‘‘অসম্ভব!’’
ভারতীয় ক্রিকেটারেরা এই ঘটনার পরে নিজেদের মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। কারণ, অশ্বিনের ডেলিভারি এলগারের হাঁটুর নীচে লাগে। তার পরেও কী করে সেই ডেলিভারি স্টাম্পের উপর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, প্রশ্ন ক্রিকেটারদের। কে এল রাহুল বলে ওঠেন, ‘‘সারা দেশ ১১ জনের বিরুদ্ধে খেলছে।’’ অশ্বিনও স্টাম্প মাইকের সামনে গিয়ে বলেন, ‘‘জেতার জন্য আরও ভাল উপায় খোঁজা উচিত।’’ কিন্তু সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হয় বিরাটের মন্তব্যে। তিনি স্টাম্প মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে বলে ওঠেন, ‘‘তোমার দল যখন বল পালিশ করছে, তখন তাদের দিকেও নজর দেওয়া উচিত। শুধুমাত্র বিপক্ষের দিকে নয়। সব সময় অন্যদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
কোহলি অসন্তুষ্ট ছিলেন ডিআরএস নিয়ে। তা হলেো বল পালিশ করার প্রসঙ্গ তোলা হল কেন? প্রশ্ন ওয়ার্নদের। ২০১৮ সালে কেপ টাউনেই ‘স্যান্ডপেপারগেট’ কাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। শিরিষ কাগজ দিয়ে বল পালিশ করার জন্য শাস্তি হয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টের। গিলক্রিস্টের বক্তব্য, ‘‘ওয়ার্নি (ওয়ার্ন), মনে হয়, এই মন্তব্য করার আগে থেকেই কোহলি এ বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করত। ওর মনের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হচ্ছিল। ডিআরএস কাণ্ডের পরে নিজেকে আর সামলাতে পারেনি।’’ যোগ করেন, ‘‘ও বলেছে, বল পালিশ করে একটি দিক চকচকে রাখার মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করা হয়। মনে হয়, সেই ঘটনার দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে।’’